আজকের দিন তারিখ ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস সাকিবের দলকে হারিয়ে চতুর্থ আইপিএল শিরোপা জিতল ধোনির চেন্নাই

সাকিবের দলকে হারিয়ে চতুর্থ আইপিএল শিরোপা জিতল ধোনির চেন্নাই


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ১৬, ২০২১ , ১১:০৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে ডেস্ক : ক্রিকেটটা সব সময় পরিসংখ্যান মেনে চলে না। চললে এবারের আইপিএল জিততো কলকাতা নাইট রাইডার্স! অতীত দেখে অনেকে তাই ভেবেছিল। আগের দু’বার ফাইনালে পৌঁছে ট্রফি হাতে নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল কেকেআর। আর এবার? তাদের হতাশ করে চতুর্থ শিরোপা ঘরে তুলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাকিবদের ২৭ রানে হারিয়েছে মহেন্দ্র সিং ধোনির দল। অথচ ১৯৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা কলকাতার উড়ন্ত সূচনায় জয় দেখছিল অনেকে। দুই ওপেনারের ঝড়ে এমনটা ভাবা বিলাসিতা ছিল না। কিন্তু শুবমান গিল ও ভেঙ্কটেশ আইয়ারের বিদায়ের পর মোমেন্টাম হাত ফসকে চলে যায় কলকাতার। ৯১ রানে আইয়ার ফেরেন ৫০ রানে। শার্দুল ঠাকুরের বলে ফেরার আগে ৫ চার ও ৩ ছয়ে চেন্নাইকে শাসন করেছেন। কিন্তু প্রথম উইকেট পতনের পরেই যেন মড়ক লাগে দলটির।
প্রয়োজনীয় মুহূর্তে সাজঘরে ফিরতে থাকেন বাকি ব্যাটসম্যানরা। নিতিশ রানা (০), সুনীল নারিন (২) দ্রুত ফিরলে তখনও ক্রিজে ছিলেন ওপেনার গিল। কিন্তু কেকেআর ওপেনার ৪৩ বলে ৫১ রানে ফিরলে আর মাথা তুলতে পারেনি তারা। তার বিদায়ের পর দিনেশ কার্তিক ৯ রানে সাজঘরে ফিরেছেন। সাকিবতো নেমেই প্রথম বলে লেগ বিফোরে ফিরেছেন রানের খাতা না খুলে! একই ওভারে দুটি উইকেট নেন জাদেজা। সতীর্থদের ব্যর্থতার দিনে ইয়ন মরগানও ছন্দে ফিরতে পারলেন না। ফিরেছেন ৪ রানে। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে কলকাতা করতে পারে ১৬৫ রান। চেন্নাইয়ের বোলারদের মধ্যে ৩৮ রানে ৩ উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর। ২৯ দুটি করে নেন জশ হ্যাজেলউড ও রবীন্দ্র জাদেজা। একটি করে নিয়েছেন দীপক চাহার ও ডোয়াইন ব্রাভো। ম্যাচের শুরুতেই অবশ্য অনন্য কীর্তিতে নাম লেখান ধোনি। টি-টোয়েন্টিতে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে ৩০০ ম্যাচ নেতৃত্ব দেওয়ার নজির গড়েন। তার মাইলফলকের ম্যাচটায় টস হারলেও ফাফ দু প্লেসি ঝড়ে ৩ উইকেটে চেন্নাই সংগ্রহ করে ১৯২ রান। চেন্নাইয়ের বড় স্কোর গড়তে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব ফাফ ‍দু প্লেসির। অবশ্য সেজন্য কলকাতা উইকেটকিপার দিনেশ কার্তিককেও কৃতিত্ব দেওয়াই যায়! সাকিবের ওভারে ব্যক্তিগত ২ রানে দু প্লেসিকে স্টাম্পিং করার সুযোগ হাতছাড়া না করলে এমন বিধ্বংসী ইনিংস দেখতে হতো না তাদের। ওপেনিং জুটিতে ঋতুরাজ ও ফাফ দু প্লেসি করেন ৬১ রান। ৩২ রানে ঋতু ফিরলে আগ্রাসী ছন্দটা ধরে রাখেন মঈন আলী ও রবিন উথাপ্পাও। রবিন ১৫ বলে ৩১ রানে ফিরেছেন। তবে শেষের দিকে বেশি কার্যকরী ছিলেন মঈন। ২০ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। শুরু থেকে চেন্নাইকে এগিয়ে নেওয়া ফাফ ইনিংসের শেষ বলে আউট হন ৮৬ রানে। প্রোটিয়া তারকার ৫৯ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও ৩টি ছয়। ম্যাচসেরাও হন তিনি। শুরুর ওভারে সাকিব বল হাতে আক্রমণে এলেও শেষ পর্যন্ত খরুচেই ছিলেন। ৩ ওভারে রান দিয়েছেন ৩৩! কার্যকরী ছিলেন নারিন। ২৬ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন। একটি নেন শিবম মাবি।