আজকের দিন তারিখ ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ সাঁকো নয় যেন মরণ ফাঁদ : হাজারো মানুষের দুর্ভোগ

সাঁকো নয় যেন মরণ ফাঁদ : হাজারো মানুষের দুর্ভোগ


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৭, ২০২০ , ৫:১২ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


গাইবান্ধা (সাঘাটা) প্রতিনিধি : গত বছরে গাইবান্ধায় বয়ে গেছে ভয়াবহ বন্যা। এর ফলে পানির স্রোতে ভেঙে যায় সাঘাটা উপজেলার বাটি ব্রিজটি। ফলে মানুষের যাতায়াতের জন্য পাশে নির্মাণ করা হয় একটি কাঠের সাঁকো। সেটিও এখন নড়বড়ে অবস্থা। বিভিন্ন এলাকার হাজারো মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগে পড়েছে। শুধু দুর্ভোগই নয়, এটি যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে সাঘাটা উপজেলার বোনারপাড়া-রামনগর-গোন্দিগঞ্জ সড়কের ঝুঁকিপূর্ণ এই সাঁকোর ওপর দিয়ে মানুষদের চলাচল করতে দেখা গেছে। এলাবাসী জানায়, সাঘাটা-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের বাটি গ্রাম এলাকায় ওই কাঁঠের সাঁকোর ওপর দিয়ে গাইবান্ধা সদরের কিছু অংশ ও সাঘাটা ফুলছড়িবাসী গোবিন্দগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলাচলা করে আসছিলেন। শুধু মানুষই নয়, যাত্রীবাহী ও মালবাহী পরিবহনও যাতায়াত করে থাকে। এরই এক পর্যায়ে বাটি এলাকার ওই ব্রিজটি এক বছর আগে বন্যায় ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর চলাচলের অনুপযোগী হলে, সেতুটির পাশে একটি কাঁঠের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। আর এই সাঁকোর ওপর দিয়ে কোনোমতে যাতায়াত চলছিল। এমন অবস্থায় সেটিও এখন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে চলতে হয় মানুষদের। বর্তমানে যানবাহন তো দূরের কথা, পায়ে হেঁটে যাওয়াও মুশকিল হয়ে পড়েছে। তারপরও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে মানুষ। এতে করে যে কোনো মুহূর্তে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। পথচারী মেহেদী হাসান বলেন, বর্তমানে ওই সাঁকো দিয়ে চলতে গিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে। তবুও প্রয়োজনের তাগিদে চলতে হচ্ছে। সেতুটির জরুরি পুননির্মাণ না করা হলে, যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ বিষয়ে বোনারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়ারেছ প্রধান দিনের শেষে প্রতিনিধিকে বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ওই ব্রিজ পুননির্মাণে উপজেলা পরিষদের সভায় প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। গাইবান্ধা এলজিইডির সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী ছবিউল ইসলাম জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজ কালভার্টগুলো সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।