আজকের দিন তারিখ ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ আশুলিয়ায় সেই গণধর্ষণের ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা

আশুলিয়ায় সেই গণধর্ষণের ঘটনায় ১০ জনকে আসামি করে মামলা


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ৮, ২০২০ , ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


সাভার প্রতিনিধি : সাভারের আশুলিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের গণধর্ষণের ঘটনায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বড় বোন। ঘটনার প্রায় ১ মাসেরও বেশি পরে এই মামলা দায়ের করা হল।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এমদাদ হোসেন। এর আগে বুধবার (৭ অক্টোবর) রাতে মামলা দায়ের করা হয়। মামলার অন্যতম ৪ আসামি ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মামলার আসামিরা হলো- নড়াইল জেলার কালিয়া থানার মহিষখোলা গ্রামের আকরাম হোসেনের ছেলে সারুফ (১৮), আল আমিন ওরফে সাধু মার্কেট আল আমিন (১৯), গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানার বাগবাড়ি এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে ডায়মন্ড আল আমিন (১৮), রংপুর জেলার পীরগাছা থানার প্রতাববিষু গ্রামের আনছার আলির ছেলে জাকির হোসেন (১৮), ভাদাইল এলাকার দেলু হাজীর বাড়ির ভাড়াটিয়া রেজাউল ইসলামের ছেলে রেদওয়ান (১৯), ভাদাইল এলাকার আক্কাস আলী মার্কেট এলাকার বাদশা (১৮), ভাদাইলের পবনারটেক ক্লাবের জাকিরের বাড়ির ভাড়াটিয়া জিহাদ (২০), ভাদাইলের পবনারটেক এলাকার স্বরব আলীর ছেলে আল আমিন ওরফে গরু আল আমিন, আলুর মার্কেট এলাকার করম আলীর ছেলে আল আমিন ওরফে বাটা আল আমিন (১৯), ভাদাইলের সাধু মার্কেট এলাকার মান্নানের বাড়ির ভাড়াটিয়া শাহজালালের ছেলে শাকিল (১৯) সহ অজ্ঞাত আরও ৪ থেকে ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর বড় বোন। এর মধ্যে সারুফ, রাকিব, জাকির ও ডায়মন্ড আল আমিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার এজাহারের তথ্য মতে, আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় ভাড়া থেকে একটি কারখানায় চাকরি করতো ভুক্তভোগীরা। তারা কারখানায় যাতায়াতের সময় ডায়মন্ড আলআমিন বিভিন্নভাবে উত্যক্ত করে। গত ৩০ আগস্ট তাদের ভাড়া বাসার ভাড়াটিয়া বান্ধুবীসহ চাচা ইসরাফিল ও আতোয়ারকে সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে যায় তারা। এসময় পবনারটেক উত্তরপারা সেক্রেটারি হাউজিংয়ে পৌছলে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকা গ্যাংটির সদস্যরা তাদের গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে তাদের আলাদা আলাদা করে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে থাকে। পরে ভুক্তভোগীকে হাত ধরে ঝোপের মধ্য নেওয়ার জন্য টানা হেঁচড়া করে। এসময় চাচা বাঁধা দিলে তাদের ছুরি ও চাকু দেখিয়ে মারধর করে জোরপূর্বক ঝোপের মধ্যে নিয়ে যায়। পরে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। এ ঘটনায় মিমাংসার জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকে এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে ভয়ে ভুক্তভোগীরা এলাকা থেকে আত্মগোপন করে।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক এমদাদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় প্রথমে ধারণকৃত ভিডিও’র দুটি ছবি (স্ক্রিনশট) ফাঁস হয়। পরে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক সুদীপ কুমার গোপী, আসওয়াদসহ পুলিশের কয়েকটি টিম তদন্তে নামে। এক পর্যায়ে ধারণ করা ভিডিওটি উদ্ধার করে সেই ভিডিওর সূত্র ধরে চার ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পুলিশ। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।