আজকের দিন তারিখ ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য প্লাস্টিক পণ্যে মূসক অব্যাহতির অনুরোধ

প্লাস্টিক পণ্যে মূসক অব্যাহতির অনুরোধ


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৪, ২০২০ , ৩:২৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক :  টিফিন ক্যারিয়ার ও পানির বোতলের মতো নিম্নআয়ের মানুষের ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্য হতে মূসক অব্যাহতির অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজিএমইএ)। পাশাপাশি ভোক্তাবান্ধব এবং অপার সম্ভাবনাময় প্লাস্টিক খাতকে কর অবকাশ সুবিধায় অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি জানায় সংগঠনটি।

রোববার ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর দেয়া প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে। সংগঠনের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, প্লাস্টিক বর্জ্য হতে রি-সাইক্লিং করে প্লাস্টিক দানা উৎপাদন পরিবেশবান্ধব, এর মূসক অব্যাহতি দেয়া হলেও কোভিড-১৯ মহামারিতে নিম্ন আয়ের দরিদ্র ও অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ব্যবহার্য্য প্লাস্টিকের থালা বাসন, জগ মগ, বাটি, গ্লাস, সবজি ধোয়ার ব্যবহার্য্য জালি, গামলা, বালতি, খাবার ঢাকার ঢাকনি, ঝুড়ি, বদনা, সাবান দানি, মশলার ট্রে, পিঁড়ি বা টুল, ময়লার ঝুড়ি, হাতপাখা হতে মূসক অব্যাহতি দেয়া হয়নি। ভ্যাট দিয়ে বর্তমানে এ সমস্ত পণ্য অতি দরিদ্র তৃণমূলের মানুষ ক্রয় করতে পারবেন না। কাজেই এসব পণ্য হতে ভ্যাট অব্যাহতি দেয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

মূসক আইনের ধারা ২(৪৮) এবং ১০(১) এ মূসক অব্যাহতির বিধান চালু থাকা এবং টার্নওভার করের সুবিধা বহাল রাখায় সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে তিনি বলেন, এনবিআরের সাধারণ আদেশ ১৭/মূসক/২০১৯ তাং ১৭/০৭/১৯ইং এর মাধ্যমে প্লাস্টিক সেক্টরের সকল উৎপাদিত পণ্যকে টার্নওভার নির্বিশেষে ভ্যাটের আওতায় নিবন্ধিত করার বিধান চালু করেছেন। ফলে ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প ভ্যাট দিয়ে কারখানা চালু রাখা সম্ভব হবে না। ভ্যাট আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এনবিআরের উক্ত সাধারণ আদেশ বাতিল করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

বিপিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ব্যবসা পরিচালনার (ডুয়িং বিজনেস) জটিলতা অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে। এক্ষেত্রে এনবিআর অটোমেশনের যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে, তা পুরোপুরি দক্ষতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করতে হবে। গার্মেন্টস খাতের জন্য আর্টিফিশিয়াল বা ম্যান মেইড ফাইবার, গাড়ির যন্ত্রাংশ উৎপাদন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অটোমেশন, রোবোটিকস ডিজাইনসহ এ ধরনের যন্ত্রাংশ উৎপাদন, ন্যানো টেকনোলজিভিত্তিক উৎপাদন, বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার এবং বিমান রক্ষণাবেক্ষণ ও যন্ত্রাংশ উৎপাদন ইত্যাদি সাতটি খাতে বিনিয়োগ আগ্রহ বাড়াতে কর অবকাশ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। এসব খাতে বিনিয়োগ করলে আগামী ১০ বছরের জন্য কর অবকাশ সুবিধা পাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে প্রথম দুই বছর কোনো কর দিতে হবে না।