আজকের দিন তারিখ ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস টাইগারদের ইতিহাসগড়া জয়ের ম্যাচে যত রেকর্ড

টাইগারদের ইতিহাসগড়া জয়ের ম্যাচে যত রেকর্ড


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩ , ১২:৪৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


ঐতিহাসিক জয়ের পর বাংলাদেশ দল

দিনের শেষে ডেস্ক : নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ২০০৭ সাল থেকে ওয়ানডে খেললেও কখনো জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। এবার নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে সেই ইতিহাস বদলাল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। প্রথমবারের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ওয়ানডে জিতল চন্ডিকা হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। শনিবার নেপিয়ারে ম্যাকলিন পার্কে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শরিফুল-সৌম্যদের বোলিং তোপে ৩১.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে মাত্র ৯৮ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। জবাবে বিজয়-শান্তদের ব্যাটে ১৫.১ ওভারে ৯ উইকেটের জয় তুলে নেয় সফরকারীরা।
টাইগারদের ইতিহাসগড়া এই জয়ের ম্যাচে বেশ কিছু রেকর্ড হয়েছে। চলুন দেখে নেয়া যাক সেই রেকর্ডগুলো কি কি-সর্বশেষ ২০১৬ সালে নেলসনে বাংলাদেশের বিপক্ষে অলআউট হয়েছিল নিউজিল্যান্ড। সেবার ২৫১ রানে অলআউট হয়েও নিউজিল্যান্ড জিতেছিল ৬৭ রানে। এবার আর সে সুযোগ হয়নি। উল্টো তারা হেরেছে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। বাংলাদেশের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের সর্বনিম্ন স্কোর আজকের ৯৮ রান। এর আগের সর্বনিম্ন ছিল ১৬২ রান। যেটি ২০১৩ সালে হয়েছিল মিরপুরে। সব মিলিয়ে ওয়ানডেতে এ নিয়ে ৯ম বারের মতো ১০০-এর নিচে অলআউট হলো কিউইরা। দেশের মাটিতে যা চতুর্থবার ও ২০০৭ সালের পর প্রথমবার।
এর আগে শতরানের আগে বাংলাদেশ অলআউট করতে পেরেছে মাত্র দুই দলকে। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়েকে ও ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। আজ তালিকায় যুক্ত হলো নিউজিল্যান্ডের নাম। এই ম্যাচে পেসাররাও গড়েছে রেকর্ড। দ্বিতীয়বারের মত কোনো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটই নিলেন বাংলাদেশের পেসাররা। তানজিম, শরিফুল ও সৌম্য নিয়েছেন ৩টি করে, ১টি মুস্তাফিজুর রহমান। এর আগে একমাত্র দ্বিতীয়বার কোনো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটই নিলেন কৃতিত্ব দেখাল বাংলাদেশের পেসাররা। আজ তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার নিয়েছেন ৩টি করে, ১টি মুস্তাফিজুর রহমান। এর আগে একমাত্র ঘটনাটি ছিল চলতি বছরের মার্চে সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সেবার বাংলাদেশের হয়ে ১০টি উইকেট নিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ (৫), তাসকিন আহমেদ (৩) ও এবাদত হোসেন (২)। ঘটনাটি ছিল এ বছরেই মার্চে, সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সেবার বাংলাদেশের হয়ে ১০টি উইকেট নিয়েছিলেন হাসান মাহমুদ (৫), তাসকিন আহমেদ (৩) ও এবাদত হোসেন (২)। ১৪তম বাংলাদেশি বোলার হিসেবে ওয়ানডেতে ৫০ উইকেট নেয়ার কৃতিত্ব দেখালেন পেসার শরিফুল ইসলাম। এ ক্ষেত্রে তিনি তৃতীয় দ্রুততম। এ মাইলফলক স্পর্শ করতে তার লাগল ৩৩ ম্যাচ। ২৭ ম্যাচে ৫০ উইকেট নিয়ে দ্রুততম রেকর্ডটি মুস্তাফিজুর রহমানের, যিনি ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন আবদুর রাজ্জাকের ৩২ ম্যাচের রেকর্ড।
ঘরের মাটিতে টানা ১৭ ওয়ানডে জেতার রেকর্ড নিয়ে নেপিয়ারে নেমেছিল নিউজিল্যান্ড, তাদের সামনে ছিল অস্ট্রেলিয়ার মাইলফলকটি স্পর্শ করার। কিন্তু ৯ উইকেটের বিশাল হারে ১৭ ম্যাচেই থামতে হলো তাদের। সবচেয়ে বেশি টানা ১৮ ম্যাচের জয়ের রেকর্ড অস্ট্রেলিয়ার। কিউইরা এর আগে দেশের মাটিতে সবশেষ হেরেছিল ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি, ভারতের কাছে ওয়েলিংটনে। এদিকে এক পঞ্জিকাবর্ষে রানের গড়ের দিক থেকে শাহরিয়ার নাফিসকে ছাড়িয়ে গেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২০০৬ সালে ১০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছিলেন শাহরিয়ার। যদিও ৮ রানের জন্য ১ হাজার রান হয়নি শান্তর। তবে এক পঞ্জিকাবর্ষে কমপক্ষে ৮০০ রান করা বাংলাদেশি ব্যাটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি গড় এখন তার (৪১.৩৩)। নাফিসের ছিল ৪১.৩২।

বাংলাদেশের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি নিউজিল্যান্ড

শান্ত এক পঞ্জিকাবর্ষে ১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করতে না পারলেও নিউজিল্যান্ডের উইল ইয়ং ঠিকই পেরেছেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি নিউজিল্যান্ডের ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে এক পঞ্জিকাবর্ষে ১ হাজার রান করার কৃতিত্ব দেখালেন। তার আগে কিউইদের হয়ে এক বছরে ১ হাজার রানের কীর্তি আছে—রজার টুজ (২০০০), মার্টিন গাপটিল, রস টেলর ও কেইন উইলিয়ামসন (২০১৫) ও ড্যারিল মিচেলের (২০২৩)।
বাংলাদেশ আজকে নিউজিল্যান্ডের দেয়া টার্গেট ২০৯ বল বাকি রেখে তুলে নেয়। যেটি ওয়ানডেতে তৃতীয় সর্বোচ্চ বল হাতে রেখে জয়ের রেকর্ড।