দিনের শেষে ডেস্ক :  প্রেমের সম্পর্কের পর ৬ মাসের সংসার জীবনে যাকে সব চেয়ে আপন করে নিয়েছিলেন সেই নাহিদই তাকে ছেড়ে চলে গেলো না ফেরার দেশে। স্বামীকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল স্ত্রী ডালিয়া আক্তার। তাই মর্গে বসেই মোবাইল ফোনে স্বামীর ছবি বের করে এভাবেই বারবার দেখছিলেন তিনি। তার সরল জিজ্ঞাসা, আমারে রাইখা ক্যান চইলা গেলো, আমি এখন কার কাছে থাকবো। বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয় নাহিদের মরদেহের।

এ সময় নিহত নাহিদের বাবা মো. নাদিম বলেন, আমার ছেলে কাজের জন্য গেছে, ওতো কারো পক্ষে মারামারি করতে যায় নাই। ওরে কেন মারলো? এখন আমি কার নামে মামলা করুম, কার কাছে বিচার চামু? এই দুঃখ কষ্ট কারে বলুম আমি? কি বলবো, আর কিছু বলার কিছু নাই।

তিনি জানান, সংসারে অভাব অনটনের কারনে ক্লাশ ফাইব পর্যন্ত পড়ে পড়ালেখা বাদ দেয় নাহিদ। ৮/৯ বছর আগে কিছুদিন নিউ সুপার মার্কেটে কাজ করেছে মে। এরপর থেকে সে বিভিন্ন দোকানে কাজ করে আসছিলো। সবশেষ এ্যালিফেন্ট রোডে কাজ করছিলো।

তার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. ফারহানা ইয়াসমিন। স্বজনরা জানান, মৃতদেহটি প্রথমে নিয়ে যাওয়া হবে কামরাঙ্গীরচরের বাসায়। পরে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।