আজকের দিন তারিখ ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস স্ট্রাইকার আরিফের পাশে দাঁড়ালেন লিপি ওসমান

স্ট্রাইকার আরিফের পাশে দাঁড়ালেন লিপি ওসমান


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৯, ২০২০ , ২:২১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে প্রতিবেদক : ফুটবল মাঠে লড়াকু সৈনিক। রক্ষণভাগের বাঘা বাঘা ডিফেন্ডারের বাধা পেরিয়ে বিপক্ষ দলের জালে বল জড়ানোই তার কাজ। বাংলাদেশ পেশাদার লিগে মাঠ কাঁপানো স্ট্রাইকার আরিফ হাওলাদার ফুটবল মাঠে সফল হলেও এই করোনাকালে জীবনযুদ্ধে বড় অসহায়।

দেশের স্বনামধন্য ক্লাবে বছরে ৬ লাখ টাকার পারিশ্রমিকে খেলা স্ট্রাইকার আরিফ এখন ৪০০ টাকার জোগালি।  স্ট্রাইকার আরিফ হাওলাদারের জীবনের করুন পরিণতির সংবাদ প্রকাশে পাওয়ার পর ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। শনিবার দুপুরে এই প্রতিবেদন পড়ে আরিফের প্রতি আর্থিক সহায়তার হাত বাঁড়িয়ে দিয়েছেন এমপি শামীম ওসমান পত্নী লিপি ওসমান। আরিফের জোগালি কাজ ছেড়ে দিতে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান পত্নী জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান সালমা ওসমান লিপি ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেছেন। এছাড়া আরিফের খবর নিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ টিটু।

শামীম ওসমান পত্নী লিপি ওসমান জানান, বিষয়টি আমাদের জন্য শিক্ষণীয় যে আরিফ কারো কাছে হাত না পেতে বাবা বা পরিবার চালাতে জোগালির কাজ বেছে নিয়েছে। এমন সন্তান জাতির জন্য গর্বের। আজকে যেখানে বিভিন্ন স্থানে খবর পাওয়া যায় বৃদ্ধ বাবাকে কিছু সন্তানরা রাস্তায় ফেলে যাচ্ছে, সেখানে আরিফ বাবা মায়ের জন্য জোগালি করতে দ্বিধাবোধ করেনি। তাকে সম্মান জানাই। তিনি আরও জানান, ওর জন্য ৫০ হাজার টাকা দিয়েছি এটা প্রচারের জন্য নয়। আল্লাহ যেন এই অনুদানকে কবুল করেন। ইতোমধ্যে ওর জন্য এমপি শামীম ওসমান একটি ফুটবল ক্লাব যোগাড় অথবা একটি চাকরির চেষ্টা করে যাচ্ছেন। আমি সবাইকে আহ্বান জানাব এ রকম একটি ব্যক্তিত্ববান ছেলের পাশে দাঁড়াতে।

এ বিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক তানভ্রী আহমেদ টিটু জানান, আমরা আরিফের পরিবারের খোঁজ নিয়েছি। ঘটনাটি সত্যিই আমাদের ব্যথিত করেছে। আমরা আরিফের জন্য দীর্ঘস্থায়ী কিছু করার চেষ্টা করছি।

প্রসঙ্গত, কারোনাকালে স্ট্রাইকার আরিফকে কোন টিম নেয়নি। আরিফ অতীতে ফুটবল খেলে যে টাকা কামিয়েছিল সেই টাকা দিয়ে বাবাকে দিয়েছিল ব্যবসা করতে। কিন্তু লোকসান হওয়ায় পুরো পরিবার নিঃস্ব হয়ে যায়। বাবা স্ট্রোক করে দুই বার। ২০১৯ সালে আড়াই লাখ টাকা বাৎসরিক চুক্তিতে চ্যাম্পিয়নস লিগ অগ্রণী ব্যাংক, ২০১৭-১৮ মৌসুম শেখ জামাল টিমে ৬ লাখ, ২০১৬ সাল ৩ লাখ টাকা আরামবাগ কেসি ও ২০১৫ বি লিগ বিজেএমসিতে আড়াই লাখ টাকা চুক্তিতে টিমে সুযোগ পায় আরিফ। কিন্তু পরে কোন টিমে ডাক না পেয়ে তার জীবনে নেমে আসে বেকারত্ব। বাবা মায়ের সংসার টানতে পেটের ক্ষুধা মেটাতে শেষ পর্যন্ত গত দেড় মাস ধরে লোকচক্ষুর আড়ালে মাত্র ৪শ টাকার জোগালি কাজ করছিল স্ট্রাইকার আরিফ হাওলাদার। কিন্তু সেলিব্রেটি খেলোয়াড়ের এ আত্মত্যাগ কি আর গোপন থাকে?