আজকের দিন তারিখ ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য সীমান্তবাণিজ্য চালুর সিদ্ধান্ত: রপ্তানিকারকরা এখনও ছাড়েননি কয়লা-পাথর

সীমান্তবাণিজ্য চালুর সিদ্ধান্ত: রপ্তানিকারকরা এখনও ছাড়েননি কয়লা-পাথর


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৯, ২০২০ , ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনা মহামারীর কারণে ২ মাসেরও বেশি সময় বন্ধ থাকার পর ভারতের মেঘালয় ও বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলা সুনামগঞ্জ, সিলেট ও ময়মনসিংহের শুল্কস্টেশনগুলো সোমবার থেকে চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারতীয় কর্তৃপক্ষ। তবে রপ্তানিকারকরা এখনও কয়লা ও পাথরবোঝাই ট্রাক না ছাড়ায় জমছে না শুল্কস্টেশনগুলো। সোমবার মেঘালয়ের ইস্ট ও ওয়েস্ট খাসিয়া হিলের রপ্তানিকারকরা নিজেদের শুল্কবন্দর এলাকায় বৈঠক করেছেন। বুধবার আবার বৈঠক হওয়ার কথা। এই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে জানিয়েছেন রাজস্ব কর্মকর্তারা। ভারতের মেঘালয় সরকারের প্রধান সচিব এম ডট এস রাও গত ৩ জুন রাজ্যের রাজনৈতিক শাখাসহ সংশ্লিষ্টদের পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছেন, ভারতের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত নির্দেশনা মেনে রাজ্যে সীমান্তবাণিজ্য পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার। তবে রাজ্যের স্ব স্ব জেলা প্রশাসকরা স্থানীয় পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সময়সূচি নির্ধারণ করে দেবেন। ভারতীয় সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সুনামগঞ্জের বড়ছড়া, চারাগাঁও, বাগলি, ছাতক, ইছামিতি, চেলা ও সিলেটের তামাবিল – ভোলাগঞ্জ এবং ময়মনসিংহ সীমান্তের শুল্কস্টেশনের আমদাননিকারকসহ শ্রমিকরা উজ্জীবিত হয়েছিলেন। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের তিন শুল্ক বন্দরে প্রায় ৮০০ আমদানিকারক ভারতীয় কয়লা ও পাথর আমদানির সঙ্গে যুক্ত। দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সবচেয়ে বড় কয়লা শুল্কস্টেশন সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে। শুল্কস্টেশন চালু থাকলে কমপক্ষে ৫০ হাজার শ্রমিক এসব বন্দরে কাজ করেন। আমদানিকারক ও শ্রমিকরা আশা করছেন, বন্দর চালু হলে শ্রমিকদের কর্মসংস্থান হবে। সীমান্ত অর্থনীতি আবারও চাঙ্গা হয়ে উঠবে। কিন্তু রপ্তানিকারকরা এখনো পাথর ও কয়লাবোঝাই ট্রাক না ছাড়ায় এপারে কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি। তাহিরপুরের একাধিক আমদানিকারক জানিয়েছেন, মেঘালয়ের সীমান্তবর্তী জেলার জেলা প্রশাসকরা চাচ্ছেন সীমিত আকারে রপ্তানি কার্যক্রম চালু হোক। কিন্তু রপ্তানিকারকরা মনে করেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাভাবিক সময়ের মতোই সময় নির্ধারণ হোক। এই বিষয়টি চূড়ান্ত করার জন্য রপ্তানিকারকরা সোমবার মেঘালয়ের ইস্ট ও ওয়েস্ট খাসিয়া হিলের শুল্কবন্দর এলাকায় নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন। সিলেটের তামাবিল শুল্ক বন্দরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সজিব মিয়া জানান, রপ্তানিকারকরা সোমবার নিজেদের মধ্যে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে রপ্তানি শুরু কখন থেকে হবে তা চূড়ান্ত হয়নি। বুধবার আবার তারা বসবেন।  তাহিরপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী ও ছাতকের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. গোলাম কবির জানান, এই দুই সীমান্তের ভারতীয় অংশে সোমবার রপ্তানিকারকরা বৈঠকে বসেছিলেন, এটি জানেন তারা, তবে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রপ্তানিকারকরা এটি জানা যায়নি। তাহিরপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজেন ব্যানার্জী বলেন, ভারতীয় ট্রাক সীমান্ত অতিক্রম করে এই দেশে আসার পর শ্রমিকরা এখানে অবস্থান করতে পারবেন না, এমন আইন রয়েছে। এই সময়ে এটি আরও কঠোরভাবে মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিধিও কঠোরভাবে মানতে হবে নিজেদের জন্যই।