আজকের দিন তারিখ ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য লকডাউনেও রপ্তানি আয়ে সুবাতাস, একমাসে তিনগুণ

লকডাউনেও রপ্তানি আয়ে সুবাতাস, একমাসে তিনগুণ


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৯, ২০২০ , ২:৫৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে ডেস্ক : মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে দেশে চলছে লকডাউন। এতে বিশ্ব বাণিজ্য অচল হয়ে পড়ে। ফলে চলতি বছরের এপ্রিলে আশঙ্কাজনক হারে দেশের রপ্তানি আয় কমে যায়। তবে পরের মাস মে তে আগের মাসের চেয়ে প্রায় তিনগুণ বেশি আয় করেছে বাংলাদেশ। যদিও গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ৬১ শতাংশ।

মঙ্গলবার (৯ জুন) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)’র পাঠানো হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসে পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ আয় করেছে ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। যা তার আগের মাস এপ্রিলে এ রপ্তানির পরিমাণ ছিল মাত্র ৫২ কোটি ডলার।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত অর্থবছরের মে মাসের চেয়ে চলতি অর্থবছরের মে মাসে রপ্তানি আয় কম হয়েছে প্রায় ৬১ শতাংশ। এপ্রিলে কমেছে ৮৩ শতাংশ। আগামী মাসগুলোতেও রপ্তানি আয়ে এ নেতিবাচক প্রবণতা কমে আসবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, করোনা ভাইরাসের কারণে এক হাজার ১৫০ কারখানার ৩১৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ বাতিল বা স্থগিত হয়েছে। ৪৬০ কোটি টাকা মূল্যের হিমায়িত চিংড়ির ২৯৯টি ক্রয়াদেশ স্থগিত বা বাতিল করেছে বিদেশি ক্রেতারা। দুই মাস ধরে সবজি রফতানি বন্ধ। আসবাবে নতুন কোনো ক্রয়াদেশ আসছে না।

ইপিবির তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের মে মাসে দেশের রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৪১০ কোটি ৯০ লাখ ডলার। এ সময় আয় হয় মাত্র ১৪৬ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মে মাসের চেয়ে এই আয় ৬১ দশমিক ৫৭ শতাংশ কম। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম ৬৪ দশমকি ৩৪ শতাংশ। গত অর্থবছরের এই সময় আয় ছিল ৩৮১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার।

ইপিবির পরিসংখ্যানে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে আয় করেছে মাত্র দুই হাজার ৫৭০ কোটি ডলার। যা গত বছরের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল তিন হাজার ১৭৩ কোটি ডলার। পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে ২৫ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার। লক্ষ্য ছিল ৩৪ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরের এই ১১ মাসে আয় হয়েছিল ৩১ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার। গত ১১ মাসে তৈরি পোশাকের রপ্তানি কমেছে ১৯ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রা থেকে আয় কম হয়েছে ২৬ দশমিক ৩১ শতাংশ। টেরিটাওয়েলসহ পোশাক খাতের সমজাতীয় পণ্য মিলে মোট রপ্তানিতে পোশাক খাতের অবদান ৮৬ শতাংশ।

এ খাতের উদ্যোক্তাদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর তথ্য অনুযায়ী, গত ১১ মাসের মধ্যে মে মাসে ওভেন ও নিট খাতে পোশাক রপ্তানি কমেছে যথাক্রমে ১৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও ১৯ দশমিক ২২ শতাংশ। একই সঙ্গে কমেছে লক্ষ্যমাত্রাও।