আজকের দিন তারিখ ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ রাজশাহীর বাঘায় জমে উঠছে পশুর হাট

রাজশাহীর বাঘায় জমে উঠছে পশুর হাট


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ২৮, ২০২০ , ১১:০৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি : পবিত্র ঈদুল আজহা সামনে রেখে জমে উঠেছে রাজশাহীর বাঘা উপজেলার রুস্তমপুর, চণ্ডিপুর, আড়ানী পশুর হাট। ঈদের আর তিন দিন বাকি থাকায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
হাটে আসছে বিভিন্ন ধরনের পশু। বেচাকেনা শুরু হয়েছে পুরোদমে। আড়ানী হাটে ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
কোরবানির পশু কিনতে আড়ানী পৌরসভার হামিদকুড়া গ্রামের সাধারণ কৃষক বিরাজ উদ্দিন রুস্তমপুর হাটে যান। করোনা ভাইরাসের মধ্যেও বিপুল উৎসাহ নিয়ে পুরো হাট ঘুরে গরু-ছাগল দেখে অবশেষে ৫৬ হাজার টাকায় একটি গরু কিনে বাড়ি ফিরেন।
বিরাজসহ পাঁচজন মিলে গরুটি কিনেছেন। গরু দেখে বাড়ির শিশুদের চোখে মুখে ঝিলিক দিচ্ছিল আসন্ন ঈদের খুশিতে।
রুস্তমপুর হাট থেকে গরু কেনা বিরাজ উদ্দিন জানান, বাড়িতে গরু রাখার জায়গা আছে। আর ছেলেমেয়েরা কোরবানি কেনার জন্য আগ্রহ হয়ে ওঠে। তাই কয়েক দিন আগেই ৫ জন মিলে গরু কিনলাম।
নাটোরের লালপুর থেকে পাঁচটি গরু নিয়ে রুস্তমপুর হাটে আসেন আবদুল আজিজ নামে এক ব্যবসায়ী। গরুর মধ্যে সবচেয়ে বড় গরুটির দাম হেঁকেছেন দেড় লাখ টাকা। গরুটি হাটের কাউন্টারের পাশে রাখা হয়েছিল। দেখার জন্য ভিড় করেছেন হাটের লোকজন। আবদুল আজিজ জানান, স্থানীয়রা পাঁচ থেকে সাতজনে মিলে একটি গরু ক্রয় করছে। বাইরের বেপারিরা বেশিরভাগ গরু ক্রয় করে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন। স্থানীয়রা ঘুরে দাম জেনে চলে যাচ্ছেন। আমার বড় গরুটি কেনার ক্রেতা কম।
রুস্তমপুরের হাট ব্যবসায়ী একরামুল হক সনত জানান, নিরাপত্তার জন্য হাটে পুলিশ, র্যা ব ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের রয়েছে নজরদারি। বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, হাটে নিরাপত্তার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে তদারকি বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া জালটাকা প্রতিরোধের বিভিন্ন পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা জানান, এ বছর পশুর হাট বসবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে। পশুহাটে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে বেচাকেনাসহ বেশি মানুষ নিয়ে এবং বয়স্ক ও শিশুদের হাটে যাওয়া থেকে বিরত রাখতে হবে। নির্দিষ্ট স্থানে পশু জবাই ও বর্জ্য অপসারণ, সঠিক উপায়ে চামড়া ছড়ানো বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতিতে সংক্রমণ এড়াতে যে পশু জবাই করবেন, তিনি যেন প্রতিবার সাবানপানি দিয়ে হাত ধুয়ে নেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জবাই করার মাধ্যমে তিনিও সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করতে পারেন। মাংস প্রস্তুত করার কাজে যারা জড়িত থাকবেন, তারা সুস্থ কিনা সে বিষয়ে নজর দিতে হবে।
এ ছাড়া মাংস প্রস্তুতকারী কারও মাঝে জ্বর-কাশি বা করোনার কোনো উপসর্গ থাকলে তাকে কোনো বাসায় মাংস প্রস্তুতে না পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। যারা হাটে যাবেন, তাদের প্রত্যেককেই মাস্ক ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছেন।