আজকের দিন তারিখ ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
এক্সক্লুসিভ বিশ্বে প্রথমবারের মতো স্পটি ভেড়া!

বিশ্বে প্রথমবারের মতো স্পটি ভেড়া!


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৩, ২০১৬ , ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: এক্সক্লুসিভ


বিজ্ঞানীরা বিতর্কিত জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এক্সপেরিমেন্ট এর মাধ্যমে সম্প্রতি বিশ্বের প্রথম ‘স্পটি ভেড়া’ জন্ম দিয়েছেন, যার শরীর পশম অনেকটা গরু এবং স্পটি কুকুর এর মতো।

sheep1465783599অনলাইন ডেস্ক:জেনেটিক্যালি মডিফাই প্রাণীর উদ্ভাবক জিনজিয়াং পশুপালন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক ডা. লিউ মিনজিইউন বলেন, ‘সিআরআইএসপিআর প্রযুক্তি ব্যবহারে করে যেসব ভেড়ার বাচ্চা মার্চে জন্মেছিল, সেটি আমাদের সুদৃশ্য পোষ্যতে পরিণত হয়েছে এবং এই গবেষণা ছোপানোবিহীন উল এবং কাস্টমাইজড পশমযুক্ত পোষা প্রাণী পাবার পথকে সুগম করেছে।’

এটা বিশ্বাস করা হয় যে, রূপান্তরিত প্রাণীরা ক্লিনিকাল গবেষণা ও মানব রোগীদের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জন্য পশুর অঙ্গ সরবরাহের মাধ্যমে সহায়তা করতে পারে।

তবে এই এক্সপেরিমেন্ট একটা ভয় ধরিয়ে দিয়েছে যে, সিআরআইএসপিআর প্রযুক্তিটি মানব শিশু জন্মাতে ব্যবহৃত হতে পারে।

সিআরআইএসপিআর/সিএএস৯ একটি অত্যন্ত শক্তিশালী কৌশল, যা তিন বছর আগে উদ্ভাবিত হয়েছিল যেখানে আণবিক কাঁচি ব্যবহার করে এক প্রাণীর ডিএনএ কেটে অন্য প্রাণীতে যুক্ত করা হয়।

এটা বিজ্ঞান ও ওষুধ শাস্ত্রে বিরাট সম্ভাবনা নিয়ে এসেছিল। তবে সমালোচকরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই পরিবর্তনের গতি খুবই দ্রুত হচ্ছে।

তবে জিনজিয়াং পশুপালন রিসার্চ ইনস্টিটিউটের প্রধান গবেষক ড. লিউ মিনজিইউন চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়াকে জানান যে, এই প্রকল্পটির সত্যিকার অর্থেই বৈজ্ঞানিক ও বাণিজ্যিক-উভয় উদ্দেশ্যই রয়েছে।

ডা. লিউ এর বিশ্বাস তার ভেড়া পেশী ও উল বৃদ্ধির দিক দিয়ে সাধারণ ভেড়ার সুখ্যাতিকে ছাড়িয়ে যাবে। গত বছরের একটি পরীক্ষায় যে অসাধারণভাবে পেশীবহুল শিকারী কুকুর সৃষ্টি হয়েছিল তা দেখেই তার এই বিশ্বাস।

ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরাও হিউম্যান ফার্টিলাইজেশান এবং ভ্রূণতত্ত্ব অথরিটি (এইচএফইএ) এর নিয়ন্ত্রক কর্তৃক গবেষণায় জিন সম্পাদনা ব্যবহার করার জন্য একটি লাইসেন্স অনুমোদন পাবার পর ভ্রুণের ওপর এ বছরের শুরুর দিকে সিআরআইএসপিআর প্রযুক্তি ব্যবহার করে গবেষণা শুরু করেছেন।

বিজ্ঞানীরা সিআরআইএসপিআর/সিএএস৯ প্রযুক্তির ওপর নতুন পদ্ধতি ব্যবহার করার প্রস্তাব করেছেন, যার মাধ্যমে জিনোম তৈরিতে খুব নির্দিষ্ট পরিবর্তন করা সম্ভব হবে। কিন্তু প্রধান উদ্বেগের বিষয় হলো আদি ডিএনএ পরিবর্তনের ফলে শরীরের সর্বত্র অজানা ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া ভবিষ্যত প্রজন্মের ওপর জেনেটিক প্রযুক্তির ভুল ব্যবহার হওয়ার আশংকা রয়েছে।