বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি  : পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার শ্রমিজীবি মানুষগুলো সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখায় উৎকন্ঠায় সচেতন মহল। অভিযোগ পাওয়া গেছে, ইঁদুর-বিড়াল খেলায় চলছে পৌর সদরসহ কয়েকটি বাণিজ্য বন্দরের দোকানপাট। পুলিশ, সেনাসদস্য ও প্রশাসনের লোকজনের টহল, মাইকিং, বিলবোর্ড, লিফলেট, মাক্স, সাবান, হ্যান্ডসেনিটাইজার ও খাদ্য সহায়তার মতো বিভিন্ন সচেতনতা কার্যক্রম চলমান থাকলেও সামাজিক দূরত মানছে না শ্রমজীবি মানুষগুলো। স্পল্প সময়ের জন্য ওষুধ, খাদ্য সামগ্রী, কাঁচাবাজারসহ সামান্য কিছু দোকানপাট খোলার নির্দেশনা থাকলেও বগা, নুরাইনপুর, কালিশুরী, কালাইয়া বাণিজ্য বন্দরসহ নওমালা, বগীবাজার, বাজেমহল, মমিনপুর, ভূঁইয়ারবাজার, চৌরাস্তা, ধানদী, কেশবপুরের মতো গ্রামীন হাট-বাজারগুলোর অধিকাংশ দোকান-পাট, টি-স্টল ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান সুযোগ বুঝে খোলা রাখা হচ্ছে। পুলিশ, সেনা সদস্যদের টহল কিংবা প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতি টের পেলে এসব দোকানপাট বন্ধ করা হয়। আবার খোলা হয় এরা চলে গেলেই। পৌর সদরের সীমিত হলেও সদরের বাহিরে বিভিন্ন এলাকায় অটোরিক্সা, রিক্সা ও মোটরসাইকেল চলাচল অব্যহত রয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পেশাগত দায়িত্ব পালনে বের হওয়া স্থানীয় একাধিক সংবাদকর্মী জানান, করোনা ঠেকাতে প্রশাসনের লোকজনের কঠোর নির্দেশনা থাকলেও তা ঠিকঠাক মানা হচ্ছে না। বিভিন্ন এলাকায় শ্রমজীবি মানুষগুলো পেটের দায়ে মানছে না সামাজিক দূরত্ব।  এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উপজেলার অসহায় অসুস্থতায় চিকিৎসা না পাওয়া ও কর্মহীন ক্ষুদার্ত মানুষের খোঁজে ‘করোনা প্রতিরোধে আমরা’ নামে আইডি খুলেছেন একদল যুবক। সেখানে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকা অসহায় রোজ আয়ের নিম্নবিত্ত মানুষের খোঁজ পেয়ে খাদ্য সাহায্য পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, অসচেতনতার কারণে কিছু অসাদু ব্যাবসায়ি সুযোগে দোকানপাট খুলতে পারে। তবে পুলিশ, সেনা সদস্যসহ প্রশাসনের লোকজন বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছে। হতোদরিদ্র পরিবারগুলোকে খাদ্য সহায়তাও প্রদান করা হচ্ছে।