আজকের দিন তারিখ ১১ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ২৮শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ বাউফলে করোনা প্রতিরোধে কলাগাছ ফেলে সড়কে বেরিকেট

বাউফলে করোনা প্রতিরোধে কলাগাছ ফেলে সড়কে বেরিকেট


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ৮, ২০২০ , ৭:৫৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর বাউফল পৌর সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় করোনা সংক্রমন রোধে বাঁশ ও কলাগাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। এতে অভিযোগ উঠেছে জরুরী প্রয়োজনসহ অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ারসার্বিস, পুলিশের গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির। তবে করোনার মতো মহামারি ঠেকাতে লোকজনকে ঘরে রাখতে স্থানীয় কতিপয় যুবকের এই উদ্দ্যেগকে সাধুবাদ জানিয়েছে কেউ কেউ।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কালাইয়া-ধুলিয়া আরসিসি পাকা সড়ক পাশের কলাগাছ কেটে বড়ডালিমা এলাকায় অবরোধ তৈরী করে কতিপয় যুবক। মঙ্গলবার দুপুর থেকে (৮ এপ্রিল) আজ বুধবার অবধি রয়েছে সড়কের ওপর ওই কলাগাছের বেরিকেট। এ ছাড়া বাঁশ ফেলে পৌর সদরের ২নম্বর ওয়ার্ডের চলাচলের পথ অবরুদ্ধ করেছে রেখেছে কতিপয় যুবক। আটকে রাখা হয়েছে মদনপুরা ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় প্রবেশের পথ। এসব পথে অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ারসার্বিস, পুলিশের গাড়ি, ওষুধ, খাদ্য সামগ্রী ও মালামালবাহি জরুরী প্রয়োজনীয় যানবাহন চলাচলের সুযোগ নেই। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড়ডালিমা এলাকার এলাকার কয়েক যুবক জানান, সাতক্ষিরা, যশোহর, কেরানীগঞ্জ, ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন এখানে ইটের ভাটা, ছমিল, ধানের মিল, ড্রাইভিং, ওয়ার্কসপসহ বিভিন্ন জায়গায় কাজকর্ম ও ব্যবসায় জড়িত। করোনা ভাইরাসের কারণেই কলাগাছের বেড়িকেট দিয়ে অটোগাড়ি, মোটরসাইকেল, টমটমের মতো যাত্রিবাহি যানবাহনের চলাচল বন্ধ রেখে লোকজনকে ঘরে থকাতে বাধ্য করতেই তাদের এ চেস্টা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য বলেন, ‘জাতে বাঙ্গালী, মড়ক নিজের ঘরে না লাগলে শীত-গ্রীষ্ম নাই। সুযোগ থাকলে এই লকডাউনের সময়ও ইতালী, আমেরিকা ঘুইর‌্যা করোনা রোগি দেখতে যাইতে। সরকারের নির্দেশনাও মানছে না কেউ। লোকজনকে ঘরে রাখতে বাঁশ ও কলা গাছ দিয়ে পথ আটকে যুবক ছেলেপান ভাল কাজ করছে।’ তবে ডালিমা এলাকার একজন স্কুল শিক্ষক বলেন, ‘মহামারির এই অবস্থায় সরকারি নির্দেশনা মেনে সবার সচেতন হওয়া প্রয়োজন। জররী প্রয়োজনীয় গাড়ি চলাচলের সুযোগ থাকতে হবে। বাঁশ, কিংবা রাস্তার পাশের গাছ কেটে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করোনার কোন সমাধান নয়।’ এ ব্যাপারে জানতে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা জাকির হোসেনের মোবাইলফোনে (০১৭৩৩৩৩৪১৪৯) যোগাযোগের চেস্টায় তাকে পাওয়া যায়নি।