আজকের দিন তারিখ ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য পুঁজিবাজারের ব্যাংকগুলোর দৈনিক বিনিয়োগ তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক

পুঁজিবাজারের ব্যাংকগুলোর দৈনিক বিনিয়োগ তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ১৩, ২০২১ , ১:০৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : ​পুঁজিবাজারসহ অনুৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ তদারকির জন্য এবার দৈনিক ভিত্তিতে ব্যাংকগুলোরবিনিয়োগ তথ্য চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। প্রতিদিনের তথ্য বিকেল ৫টার মধ্যে পাঠাতে বলেছে ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, ব্যাংকগুলোর নিজস্ব ও সাবসিডিয়ারিসহ দৈনিক কোথায় কী পরিমাণ বিনিয়োগ হচ্ছে তা দৈনিক ভিত্তিতে জানাতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের চিঠি দিয়ে এমন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোর কাছে থাকা উদ্বৃত্ত তারল্য যেন পুঁজিবাজারসহ অনুৎপাদনশীল খাতে চলে না যায় সেজন্য এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, করোনা সংক্রমণের প্রভাব মোকাবেলায় সরকারি প্রণোদনার আওতায় কম সুদের ঋণের একটি অংশ পুঁজিবাজার, জমি, ফ্ল্যাট কেনাসহ অনুৎপাদনশীল খাতে চলে যাওয়ার তথ্য পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে গত ২৫ জুলাই সব ব্যাংকে চিঠি দিয়ে সতর্ক করা হয়। এছাড়া প্রণোদনার আওতায় ঋণের ব্যবহারসহ বিভিন্ন তথ্য চেয়ে পরবর্তীতে আরও একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ঋণের সঠিক ব্যবহার যাচাইয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সর্বশেষ দৈনিক ভিত্তিতে মুদ্রাবাজারে লেনদেন ও বিনিয়োগের তথ্য নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, মুদ্রাবাজারে দৈনিক লেনদেনের তথ্য সংযুক্ত ছক অনুযায়ী পাঠাতে হবে। দৈনিক ভিত্তিতে বিকেল ৫টার মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের অফসাইট সুপারভিশন বিভাগে এ তথ্য দিতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিদিনের নিজস্ব বিনিয়োগের তথ্য পাঠাতে হবে। যেখানে নতুন বিনিয়োগ, মোট বিক্রয়মূল্য (সেল ভ্যালু) ও নেট এক্সপোজার পাঠাতে হবে। প্রতিদিনের মার্জিন ঋণের পরিমাণ, স্থিতি ও সমন্বয় জানাতে হবে। এছাড়া নিজস্ব ও সাবসিডিয়ারিতে প্রতিদিনের ঋণসীমা, তহবিল ছাড়, তহবিল সমন্বয় এবং নেট এক্সপোজারের তথ্য দিতে হবে। বিভিন্ন কারণে ব্যাংকগুলোর হাতে প্রচুর উদ্বৃত্ত তারল্য থাকলেও আশানুরুপ ঋণ না বৃদ্ধির কারণে প্রচুর উদ্বৃত্ত তারল্য জমা হয়েছে। গত জুন শেষে ব্যাংকগুলোর অলস তারল্য দাঁড়িয়েছে ৬২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আর ২ লাখ ৩১ হাজার কোটি টাকার উদ্বৃত্ত তারল্য রয়েছে