আজকের দিন তারিখ ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া পথে ফেরি চলাচল বন্ধ

দৌলতদিয়া–পাটুরিয়া পথে ফেরি চলাচল বন্ধ


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ৫, ২০২০ , ৮:১৫ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


গোয়ালন্দ, রাজবাড়ী প্রতিনিধি : পোশাক শিল্প কারখানা আবারও ছুটি ঘোষণা করায় রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে  রোববার সকাল ছয়টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। হঠাৎ সব ধরণের ফেরি চলাচল বন্ধে অনেকে চরম দুর্ভোগে পড়েন। ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রোববার থেকে পোশাক কারখানা খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হলে গতকাল শনিবার দেশের বিভিন্নি প্রান্ত থেকে হাজার হাজার শ্রমিক ঢাকার পথে রওনা দেন। সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে এবং স্বাস্থ্য বিধি না মেনে হাজারো শ্রমিকের ঢাকায় ফেরায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার চরম ঝুঁকি দেখা দেয়। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলের উদ্বেগ প্রকাশের মুখে শনিবার রাতেই পোশাক কারখানা ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষনা করে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। ফের যাতে শ্রমিকেরা দল বেঁধে বাড়ি ফিরতে না পারে এজন্য রাতেই সকল নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশনা আসে। ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েন অনেকে। যশোরে ১৬ দিন আটকে থাকার পর গতকাল ঘাটের ঝক্কি ঝামেলা এড়াতে সকালে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে মানিকগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মো. সবুজ নামে এক ব্যক্তি। পথে রাজবাড়ী রাস্তার মোড়ে পুলিশ তাকে ফেরি বন্ধের সংবাদ দিলে তিনি বিপাকে পড়েন। উপায় না পেয়ে তিনি এ প্রতিবেদককের সহযোগিতা কামনা করেন। কিন্তু সকাল ছয়টা থেকে সব ধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার খবর নিশ্চিত করলে তিনি যশোর ফিরে যেতে বাধ্য হন। এ সময় তিনি বলেন, ‘১৬ দিন ধরে যশোরে আটকে আছি। গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জে যাওয়াটা জরুরি। ভেবেছিলাম স্বল্প পরিসরে হলেও ফেরি চলছে তাই দ্রুত বাড়ি ফিরতে পারলেই ভালো হয়। কিন্তু এখন কি করবো ভেবে পাচ্ছি না।’ বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ বলেন, সরকারের কড়াকাড়ি নির্দেশনা এসেছে কোনো ধরণের ফেরি চালু রাখা যাবে না। তাই সকাল ছয়টা থেকে সমস্ত ফেরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে স্বল্প পরিসরে দুটি বড়, একটি মাঝারি ও দুটি ছোট ফেরি চালু রেখে জরুরি পণ্যবাহী যান বা রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স পারাপার করা হতো। এ ধরনের জরুরি পরিবহন পারাপারের ক্ষেত্রে কোনো নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কোনো ফেরি চলবে না।