আজকের দিন তারিখ ৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সম্পাদকীয় চিকিৎসা প্রস্তুতি জোরদার করুন

চিকিৎসা প্রস্তুতি জোরদার করুন


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ৪, ২০২০ , ৮:২৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সম্পাদকীয়


করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলো কতটা প্রস্তুত এমন প্রশ্ন বারবার সামনে আসছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রস্তুতিতে নানা দুর্বলতা আছে। প্রস্তুতির প্রধান ঘাটতি পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই)। ডায়াগনস্টিকের পর্যাপ্ত সুবিধার অভাব থাকায় রোগটি ছড়িয়ে পড়লে রোগ নির্ণয় অসম্ভব হয়ে পড়বে। আইসোলেশন ইউনিট মহামারি ঠেকানোর জন্য অনিবার্য একটি বিষয়। কয়টি হাসপাতালে আইনোলেশন ইউনিট রয়েছে। এখনো সময় আছে, যেসব প্রস্তুতিতে ঘাটতি রয়েছে তা দ্রুত দূর করতে সরকারকে আরো উদ্যোগী হতে হবে। জানা গেছে, করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিতে ঢাকা ও এর আশপাশের ১২টি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালকে বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে। তবে সব হাসপাতাল এখনো সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। আবার যেসব হাসপাতাল প্রস্তুত আছে সেখানেও যাচ্ছে না রোগী। আছে ভেন্টিলেশন ও নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের (আইসিইউ) সংকটও। করোনা চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতাল, মহানগর জেনারেল হাসপাতাল এবং মিরপুর লালকুঠি মাতৃ ও শিশু হাসপাতালকে নির্বাচন করে সরকার। কুয়েত-মৈত্রী হাসপাতাল ছাড়া আর কোনোটিই চিকিৎসার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত নয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে। নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্সসহ প্রয়োজনীয় জনবল। তেমনি অভাব আছে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামেরও। তবে আশার কথা, ঢাকা মেডিকেল করোনা নির্ণয় সেবা কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্য মতে, দেশে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৫৪টি এবং এসব হাসপাতালে মোট শয্যার সংখ্যা ৫১ হাজার ৩১৬টি। আর বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৫ হাজার ৫৫টি, যেখানে মোট শয্যার সংখ্যা ৯০ হাজার ৫৮৭টি। বাংলাদেশের পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে অনুমিত জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৪৬ লাখ। সেই হিসাবে প্রতি ১ হাজার ১৫৯ জন ব্যক্তির জন্য হাসপাতালে একটি শয্যা রয়েছে। দেশের চরম সংকটে এসব হাসপাতালের ভ‚মিকা কী তা প্রশ্ন জাগছে আমাদের মনে।