আজকের দিন তারিখ ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য গুজবে কান দেবেন না, ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজার বন্ধ হবে না : বিএসইসি

গুজবে কান দেবেন না, ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজার বন্ধ হবে না : বিএসইসি


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ২২, ২০২১ , ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : ব্যাংক বন্ধ না হলে পুঁজিবাজার বন্ধ হওয়ার সুযোগ নেই বলে ব্রোকারদেরকে সাফ জানিয়ে দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। রোববার (২১ মার্চ) ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) ও ডিএসইর শীর্ষ ব্রোকারদের এক বৈঠক বিএসইসির কমিশনা ড. শেখ সামসুদ্দিন আহমেদ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে এ কথা জানান। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি যাই হোক না কেনো, ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজার বন্ধ থাকবে না। তাই পুঁজিবাজার বন্ধ হওয়ার গুজবে কান দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। বৈঠকে বাংলা‌দেশ মা‌র্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যা‌সো‌সি‌য়েশ‌সের (বিএম‌বিএ) সভাপ‌তি মো. ছা‌য়েদুর রহমান, ডিবিএ সভাপতি মো. শ‌রিফ আনোয়ার হো‌সেন ও শীর্ষ ১০ ব্রোকার প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক/সিইওরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার প্রয়োজনে পর্যায়ক্রমে ব্যক্তি বিনিয়োগকারীদের (Retailer) উপর থেকে নির্ভরতা কমিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী নির্ভর করার তাগিদ দেয়া হয়। এ লক্ষ্যে স্টক এক্সচেঞ্জের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের ডিলার অ্যাকাউন্টে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান বিএসইসি কমিশনার।
বৈঠকে স্টেকহোল্ডাররা বাজারের সাম্প্রতিক অস্থিরতার পেছনে করোনা পরিস্থিতির অবনতি এবং বিনিয়োগকারীদের মনে পুঁজিবাজারে লেনদেন বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকাকে প্রধান কারণ হিসেবে তুলে ধরেন। জবাবে কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন বলেন, করোনা পরিস্থিতির অবনতি হলেও পুঁজিবাজার বন্ধ হওয়ার আশংকা নেই। ব্যাংক খোলা থাকলে পুঁজিবাজারও খোলা থাকবে।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাজারের সাম্প্রতিক দর পতনের পেছনে কোনো কারসাজি আছে কি-না তাদের জানা নেই। সব সময় তারা বাজার মনিটরিং করেন। এখনও করছেন। সব কিছুই পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।
বৈঠকে জানানো হয়, প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) নতুন নিয়মকে কেন্দ্র করে পুঁজিবাজার হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ আসতে যাচ্ছে। যা আগামি আইপিওর মাধ্যমে ঢুকবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ি আইপিওতে আবেদনের ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। যা আগামি ১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। কিন্তু এতোদিন কোন বিনিয়োগ ছাড়াই আবেদনের সুযোগ ছিল। যেখানে প্রতিটি আইপিওতে গড়ে প্রায় ১০ লাখ আবেদন জমা পড়ত। যার অধিকাংশ বিনিয়োগকারীর বাজারে কোন বিনিয়োগ ছিল না। তবে আগামিতে বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক করায়, এখান থেকে হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করছে সংশ্লিষ্টরা। বৈঠকের বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহি পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সংবাদিকদের বলেন, আগামি এপ্রিল মাস থেকে আইপিওতে নতুন নিয়ম চালু হতে যাচ্ছে। যে নিয়মে আইপিওতে আবেদনের ক্ষেত্রে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ থাকতে হবে। এরফলে আগামি আইপিওর আগেই বাজারে হাজার কোটি টাকার বেশি বিনিয়োগ ঢুকার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, গড়ে প্রতিটি আইপিওতে প্রায় ১০ লাখ আবেদন জমা পড়ে। যার অধিকাংশ বিও হিসাবেই কোন বিনিয়োগ থাকে না। কিন্তু আগামিতে কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। এরফলে অর্ধেক বিও হিসাবে ২০ হাজার করে বিনিয়োগ করলেও হাজার কোটি টাকা ঢুকবে বাজারে। তাই বিনিয়োগকারীদেরকে এ বিষয়টি জানানোর জন্য আজকের বৈঠকে ব্রোকারদেরকে বলা হয়েছে।