আজকের দিন তারিখ ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা করোনা রোগীদের সেল চিকিৎসা দিচ্ছে আমিরাত

করোনা রোগীদের সেল চিকিৎসা দিচ্ছে আমিরাত


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৩, ২০২০ , ৭:২৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা


দিনের শেষে ডেস্ক : সংযুক্ত আরব আমিরাতে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হিসাবে প্রথমবারের মতো স্টেম সেল ব্যবহার হচ্ছে। শনিবার শেখ খলিফা মেডিকেল সিটির হেমাটোলজি ও অনকোলজি (রক্ত ও ক্যানসার) বিভাগের প্রধান ডাঃ ফাতিমা আল কাবি একথা জানিয়েছেন। এসময় তিনি আবুধাবি স্টেম সেল কেন্দ্রের সাফল্যকে একটি জাতীয় অর্জন হিসাবে উল্লেখ করেন। স্টেম সেল প্রকল্পের সহকারী গবেষক ডা. ফাতিমা জানান, এই চিকিৎসার জন্য ২৮ জন বিশেষজ্ঞ এবং গবেষকের সমন্বয়ে একটি টিম গঠন করা হয়েছে। শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে ওই চিকিৎসক স্পষ্ট করে বলেন যে, নতুন ও যুগান্তকারী এ চিকিৎসা কোনও রোগীকে পুরোপুরি নিরাময় করবে না। তিনি আরব আমিরাতে এই সেল চিকিৎসার সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা কোভিড -১৯ সংকট মোকাবেলায় আমাদের সমস্ত বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়েছি। আমরা এই নতুন চিকিৎসা ব্যবস্থার বিকাশের জন্য গর্বিত। সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রথমবারের মতো এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলছে। এটি একটি জাতীয় অর্জন। এটি একটি সহায়ক চিকিৎসা এবং এটি সম্পূর্ণভাবে রোগ নিরাময় করে না। এটি কেবল করোনা আক্রান্ত রোগীদের ভাইরাসজনিত লক্ষণগুলি কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে। তবে এটি ভাইরাস পুরোপুরি হত্যা করবে না।’ এই চিকিৎসায় রোগীর শরীর থেকে সংগৃহীত রক্তের স্টেম সেলগুলি বের করে এবং সেগুলোকে সক্রিয় করার পর পুনরায় তা শরীরে পুনরায় স্থাপন করা হয়। আশা করা হচ্ছে, কোভিড -১৯’র বিস্তার রোধ এবং বিশ্বের মানুষের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বব্যাপী এই চিকিৎসা শুরু হবে। আরব আমিরাতে নতুন এই চিকিৎসা পদ্ধতি গত ৪ এপ্রিল প্রথমবারের মতো একজন করোনা রোগীর উপর পরীক্ষা করা হয়। এখনও অবধি আইসিইউতে থাকা ২৫ শতাংশ রোগী বা ৭৩ জনকে এই সেল চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এ সম্পর্কে চিকিৎসক ফাতিমা বলেন, ‘আমরা এই চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য তথ্য সংগ্রহের কাজ প্রায় শেষ করে এনেছি। আমরা এসব তথ্য খতিয়ে দেখব। এরপর আমরা স্টেম সেল চিকিৎসা পাওয়া এবং না পাওয়া এই দুই গ্রুপের রোগীদের মধ্যে তুলনা করে দেখবো। এই গবেষণার পর পরবর্তীতে আমরা যে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো সেটি আরও কার্যকর ও বাস্তবসম্মত হবে।’