আজকের দিন তারিখ ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হলেন এসিল্যান্ড মাহমুদা বেগম

করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বাড়ি ছাড়তে বাধ্য হলেন এসিল্যান্ড মাহমুদা বেগম


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২০, ২০২০ , ৮:৩০ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


জামালপুর প্রতিনিধি : আট মাসের কন্যা শিশুকে ঘরে রেখে মানবতার টানে ঝুঁকি নিয়ে করোনা সংক্রমণ রোধে কাজ করেছেন জামালপুর সদর উপজেলার এসিল্যান্ড মাহমুদা বেগম। ফলে নিজেই আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। ভাড়া বাসাতে আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন এই কর্মকর্তা। তবে নিজে মানবেতার সেবায় কাজ করলেও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে অমানবিকতার শিকার হয়েছেন তিনি। অসুস্থ অবস্থায় তাকে ছেড়ে দিতে হয়েছে ভাড়া বাসা। শুক্রবার ( ১৯ জুন) বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়েছেন তিনি। জানা যায়, জামালপুর সদর ভুমি অফিসে এসিল্যান্ড মাহমুদা বেগম যোগদান করেন চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারিতে। তিনি যোগদানের কিছুদিন পরেই বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়। ৮ মাস বয়সী কন্যা শিশু, চার বছর বয়সি জমজ ছেলে তাহমিদ তাজওয়ার ও মেয়ে মুশাররাত ইউলফাত নামে তিন সন্তানকে ঘরে রেখে করোনার সংক্রমণ থেকে মানুষকে বাঁচাতে বেড়িয়ে পড়েন। তার সাহসী ভুমিকা ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করায় ভুমি মন্ত্রণালয় থেকে তাকে অভিনন্দন দেওয়া হয়। গত ২ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন এই সন্মুখ যোদ্ধা মাহমুদা বেগম। সেদিন থেকে শহরের দেওয়ানপাড়া ভাড়া বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। করোনা আক্রান্ত হয়ে ওই বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকাটা ভালোভাবে নেননি বাড়ির মালিক আকলিমা খাতুনসহ ফ্ল্যাটের অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা। ফলে ফ্ল্যাটে রোজকার দুধ দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাড়ির মালিকের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এই নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ তুলে সংবাদ সন্মেলন করে মাহমুদা বেগমের অনুভূতিতে আঘাত হেনে ও বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে ফেলে বাসা ছাড়াতে বাধ্য করেন বাড়ির মালিক আকলিমা খাতুন। করোনা যুদ্ধে সাহসী মানুষ এসিল্যান্ড মাহমুদার বাসা ছেড়ে দেয়ার ঘটনায় জামালপুরের সাধারণ মানুষ মর্মাহত হয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রয়া ব্যক্ত করেছেন। এসব বিষয়ে বাড়ির মালিক আকলিমা খাতুনের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। এ বিষয়ে সদর উপজেলা ভুমি অফিসের এসিল্যান্ড মাহমুদা বেগম বলেন, ভাড়া বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টেইনে থেকে চিকিৎসা নেয়াই ছিল আমার অপরাধ। সুবিধালোভীদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট অবৈধ কার্যক্রমে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করায় একদল কুচক্রী মিথ্যা অভিযোগ এনে সংবাদ সন্মেলন করে বিব্রত অবস্থায় ফেলে আমাকে বাসা ছাড়তে বাধ্য করেছে। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ আনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।