আজকের দিন তারিখ ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য এবার কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ২৬২৯২ কোটি টাকা

এবার কৃষিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ২৬২৯২ কোটি টাকা


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ২৩, ২০২০ , ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশি-বিদেশি ব্যাংকগুলোর কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা গেলো ২০১৯-২০ অর্থবছরের চেয়ে ৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ বা ৩ হাজার ৫৪৩ কোটি টাকা বেশি।
কৃষি ও পল্লীঋণের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় চলতি অর্থবছরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর জন্য ১১ হাজার ৪৫ কোটি টাকা এবং বেসরকারি ও বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকসগুলোর জন্য ১৫ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০১৯-২০ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো ২২ হাজার ৭৪৯ দশমিক শূন্য ৩ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণ করেছে। যা মোট লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৯৪ দশমিক ৩০ শতাংশ। গত অর্থবছরে কৃষি ও পল্লীঋণ পেয়েছেন ৩০ লাখ ৬৬ হাজার ৭৮৬ জন। যার মধ্যে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব নেটওয়ার্ক ও এমএফআই লিংকেজের মাধ্যমে ১৫ লাখ ১৪ হাজার ৩৬৭ জন নারী ৮ হাজার ৩৫৯ দশমিক ৯৩ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ পেয়েছেন। ২৩ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৮ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ১৬ হাজার ২৫০ কোটি টাকা এবং চর, হাওর প্রভৃতি অনগ্রসর এলাকার ৭ হাজার ১৭৯ জন কৃষক ২১ কোটি ২১ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লীঋণ পেয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পরিবেশবান্ধব ও টেকসই কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলে জনসাধারণের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণের ক্ষেত্রে উদ্ভূত সমসাময়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং কৃষকদের কাছে কৃষি ঋণ সহজলভ্য করার লক্ষ্যে বর্তমান নীতিমালা ও কর্মসূচিতে বেশকিছু সময়োপযোগী বিষয় সংযোজিত হয়েছে।
এ নীতিমালার উল্লেখযোগ্য নতুন সংযোজিত বিষয়গুলো হচ্ছে: গয়াল ও তিতির পাখি পালনের জন্য ঋণ দেওয়া এবং এ সংক্রান্ত ঋণ নিয়মাচার সংযোজন, বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মাছ চাষে ঋণ দেওয়া, কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের আওতায় গরু মোটাতাজাকরণে ঋণ দেওয়া, ঋণ নিয়মাচারে একর প্রতি ফসলের ঋণসীমা বাড়ানো।

করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় কৃষিখাতে চলতি মূলধন সরবরাহের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার একটি পুনঃঅর্থায়ন স্কিম পরিচালনা করছে। এছাড়া সুদ-ক্ষতি সুবিধার আওতায় তৈল ও মসলা জাতীয় ফসল (ভুট্টা ছাড়া) শস্য ও ফসলখাতে স্বল্প সুদে (চার শতাংশ হারে) কৃষকদের অনুকূলে ঋণ বিতরণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে, যা চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরজুড়ে বিদ্যমান থাকবে।
তফসিলি ব্যাংকগুলো চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত পুনঃঅর্থায়ন স্কিমের আওতায় ১৭১ কোট ৯৯ লাখ টাকা এবং সুদ-ক্ষতি সুবিধার আওতায় শস্য ও ফসল খাতে ২৮৬ কোটি ২৭ লাখ টাকা বিতরণ করেছে।