আজকের দিন তারিখ ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস ‘ইনজামামের পরামর্শে ভারতকে হারিয়েছিলাম’

‘ইনজামামের পরামর্শে ভারতকে হারিয়েছিলাম’


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ২১, ২০২০ , ১২:২২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে ডেস্ক : ভারতের বিপক্ষে ২০০৬ সালের করাচি টেস্টে জয়ের স্মৃতিচারণ করেছেন পাকিস্তান দলে ‘সাবেক’ হয়ে যাওয়া কামরান আকমল।

১৪ বছর আগের সেই করাচি টেস্ট জয়ের স্মৃতি চারণ করে সম্প্রতি কামরান আকমল বলেছেন, ইরফান হ্যাটট্রিক করার পর আমার মাথায় কিছুই আসছিল না। সেই সময় আমি দলে নতুন ছিলাম, আমার উপর তেমন কোনো চাপ ছিল না। পিঠের ব্যথার জন্য ইনজামাম সেই টেস্ট খেলতে পারেননি, তিনি বিশ্রাম ছিলেন। আমি ড্রেসিংরুমে ইনজামাম ভাইয়ের পাশেই বসেছিলাম। তিনি খেলার অবস্থা দেখে বারবার উঠে জায়গা বদল করছিলেন।

সেই টেস্টের প্রথম ইনিংসের প্রথম ওভারেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন ভারতীয় সাবেক তারকা পেসার ইরফান পাঠান। তার গতির মুখে পরে একের পর সাজঘরে ফেরেন সালমান বাট, ইউনুস খান ও মোহাম্মদ ইউসুফ। আট নম্বরে কামরান আকমল যখন ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তখন মাত্র ৩৯ রানে সালমান বাট, ইউনুস খান, মোহাম্মদ ইউসুফ, ফয়সাল ইকবাল, শহীদ আফ্রিদি ও ইমরান ফরহাত- এই ছয় ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়ে চরম বিপদে পাকিস্তান।

দলের এমন কঠিন বিপর্যয়ের সময়ে ব্যাটিংয়ে নেমে লোয়ারঅর্ডার ব্যাটসম্যান আবদুল রাজ্জাক ও শোয়েব আখতারের সঙ্গে ১১৫ ও ৮২ রানের জুটি গড়েন কামরান আকমল। তার ১১৩ রানের অবিশ্বাস্য ব্যাটিংয়ে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ২৪৫ রান।

জবাবে মোহাম্মদ আসিফ আর আব্দুল রাজ্জাকের গতির মুখে পড়ে ২৩৮ রানে অলআউট হয় রাহুল দ্রাবিড়ের নেতৃত্বাধীন ভারত। দ্বিতীয় ইনিংসে সাত উইকেটে ৫৯৯ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে ইউনুস খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান। চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ভারতের প্রয়োজন ছিল ৬০৭ রান। রাজ্জাক-আসিফের গতির মুখে পড়ে ২৬৫ রানে অলআউট হয় ভারত। ৩৪১ রানের জয় পায় পাকিস্তান।

সেই টেস্ট জয়ের স্মৃতি চারণ করে কামরান আকমল বলেছেন, খেলার অবস্থা দেখে ইনজাম ভাই আমাকে বললেন, ভারতের বিপক্ষে তুমি তোমার স্বাভাবিক খেলাটাই খেল। কোনো চাপ নিবে না। এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যেভাবে সেঞ্চুরি করেছিলে সেভাবেই খেল। ইনজামাম ভাইয়ের পরামর্শে সেদিন ভারতকে হারিয়েছিলাম।

ম্যাচের সেরা কামরান বলেছেন, প্রথম ইনিংসে আমি ব্যাটিংয়ে নেমেই আরপি সিংহের ডেলিভারি গালি-পয়েন্ট দিয়ে কাট করে আত্মবিশ্বাসী হয়েছিলাম। এরপর আবদুল রজ্জাক আর শোয়েব আখতারের সঙ্গে অসাধারণ দুটি জুটি গড়েছিলাম। সেই টেস্ট ম্যাচটা ছিল অবিশ্বাস্য অভিজ্ঞতা, এখনও ওই টেস্ট জয়ের কথা স্মরণ হলে নিজেই অবাক হয়ে যাই। আমার ওই ইনিংস সারা জীবন মনে থাকবে। ঘরের মাঠে ভারতকে হারানোয় দারুণ লেগেছিল।

প্রসঙ্গত,২০০২ থেকে ২০১৭ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পাকিস্তানের হয়ে ৫৫টি টেস্ট, ১৫৭টি ওয়ানডে আর ৫৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১১টি সেঞ্চুরির সাহায্যে ৬ হাজার ৮৭১ রান সংগ্রহ করেন কামরান আকমল। ৩৮ বছর বয়সী এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান এখনও স্বপ্ন দেখেন পাকিস্তানের হয়ে খেলার।