আজকের দিন তারিখ ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব ইউক্রেন পরিস্থিতি ‘বিপজ্জনক’, দূতাবাস খালি করল অস্ট্রেলিয়া

ইউক্রেন পরিস্থিতি ‘বিপজ্জনক’, দূতাবাস খালি করল অস্ট্রেলিয়া


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২২ , ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউক্রেন ইস্যুতে রাষ্ট্রপ্রধান-কূটনীতিকদের বৈঠকের সঙ্গে উত্তেজনাও বেড়ে চলেছে। এমন পরিস্থিতি কিয়েভে থাকা দূতাবাস খালি করার ঘোষণা দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) অস্ট্রেলিয়া জানায়, রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তের পরিস্থিতি দ্রুত অবনতি হচ্ছে। তাই কিয়েভে তাদের দূতাবাস খালি করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এই সংকটে ইউক্রেনের পাশে থাকার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ম্যারিস পেইন এক বিবৃতিতে বলেন, কিয়েভে অবস্থিত তাদের দূতাবাসের কর্মীদের পোল্যান্ড সীমান্ত থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে পশ্চিম ইউক্রেনের শহর লভিভের একটি অস্থায়ী অফিসে পাঠানো হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব অস্ট্রেলিয়ানদের ইউক্রেন ছাড়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। এক সংবাদ সম্মেলনে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতি ‘খুব বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে’। রাশিয়ার স্বৈরাচারী একতরফা পদক্ষেপের কারণেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যা সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য। তিনি বলেন, চীন সরকার অস্ট্রেলিয়ার সমালোচনা করতে পারলে খুশি হয়। তবুও ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সৈন্যদের জড়ো হওয়ার বিষয়ে তারা নীরব রয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে আমরা একটি স্বৈরাচারী জোট দেখতে পাচ্ছি। প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে ৫জি ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের হুয়াওয়ে টেকনোলজি ক্যানবেরা নিষিদ্ধ করে। এরপর অস্ট্রেলিয়া ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। এর আগে শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ইউক্রেন থেকে দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট। তার আগের দিন মার্কিন নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন ছাড়ার নির্দেশ দেয় বাইডেন প্রশাসন। শনিবার রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা এক বিবৃতিতে বলেন, কিয়েভ সরকার বা তৃতীয় দেশগুলোর সম্ভাব্য উসকানির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ইউক্রেনে রাশিয়ান বিদেশি মিশনের কর্মীদের সরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে আমাদের দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলো তাদের মৌলিক দায়িত্ব পালন করে যাবে। নিউজিল্যান্ডও তাদের নাগরিকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেন ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। একই সঙ্গে ব্রিটেন, জাপান, লাটভিয়া ও নরওয়ে তাদের নাগরিকদের ইউক্রেন ছাড়ার জন্য বলেছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা দূতাবাসের কর্মী ও স্বজনদের দ্রুত সরিয়ে নিচ্ছে। এছাড়া আরও কয়েকটি দেশ একই উদ্যোগ নিয়েছে।