আজকের দিন তারিখ ৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সম্পাদকীয় আবদুল মাজেদের ফাঁসি : জাতির গ্লানি মুক্তি হয়েছে

আবদুল মাজেদের ফাঁসি : জাতির গ্লানি মুক্তি হয়েছে


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ১৩, ২০২০ , ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সম্পাদকীয়


জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত আসামি আবদুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। শনিবার মধ্যরাতে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর হয়। এতে কিছুটা হলেও জাতির গ্লানিমুক্তি ঘটেছে। স্বাধীন বাংলার স্থপতিকে হত্যার পর ক্ষমতা দখলকারীরা খুনিদের যাতে বিচার না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি (দায়মুক্তি) অধ্যাদেশ জারি করে। স্বঘোষিত খুনিরা পরবর্তী সময়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে থাকার সুযোগ পায়। এদের কেউ কেউ বিদেশে মিশনে চাকরি পেয়ে পুরস্কৃত হয়। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিলের আগ পর্যন্ত ২১ বছর স্বঘোষিত খুনিরা বিচারের আওতা থেকে মুক্ত থাকার সুযোগ পেয়েছিল। অনেক দেরিতে ও পাহাড়সম বাধাবিপত্তি পেরিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার সম্পন্ন হয়েছে। ২০১০ সালে ২৮ জানুয়ারি খুনিদের মধ্যে কারাগারে আটক পাঁচ খুনি সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, মহিউদ্দিন আহমদ (ল্যান্সার), এ কে বজলুল হুদা এবং এ কে এম মহিউদ্দিনকে (আর্টিলারি) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়। অন্যদিকে ফাঁসির দন্ড পাওয়া অন্য পাঁচ খুনি বিভিন্ন দেশে পলাতক থাকায় তাদের দন্ড কার্যকর করা সম্ভব হয়নি। এর আগেই অবশ্য আরেক খুনি আজিজ পাশা ২০০১ সালে জিম্বাবুয়েতে মারা গেছে বলে বিএনপি নেতৃত্বাধীন তৎকালীন জোট সরকার ঘোষণা দেয়। এই খুনিদের দেশে ফিরিয়ে দন্ড কার্যকর করতে না পারাটা জাতির জন্য হতাশার। সরকার বলছে, নানাভাবে চেষ্টা করছে খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার। দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর খুনি আবদুল মাজেদকে হঠাৎ গ্রেপ্তারের খবর আসে। পুলিশের দাবি ৬ এপ্রিল রাত ৩টার দিকে ঢাকার মিরপুর সাড়ে ১১ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। পরদিন দুপুরে আদালতে তোলা হলে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত। আদালতের নির্দেশে মাজেদকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। দুই যুগের বেশি সময় আত্মগোপনে ছিল খুনি মাজেদ। ২৩ বছর কলকাতায় ছদ্মনামে পলাতক ছিল সে। আমরা আশা করব, সরকার বিদেশে পলাতক বাকি খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রয়াস জোরদার করবে।