আজকের দিন তারিখ ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// আজকের শিশুরাই আগামী দিনের স্মার্ট জনগোষ্ঠী: প্রধানমন্ত্রী

আজকের শিশুরাই আগামী দিনের স্মার্ট জনগোষ্ঠী: প্রধানমন্ত্রী


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মার্চ ১৭, ২০২৩ , ৫:২২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চাই। আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ সালের মধ্যে গড়তে চাই। আজকের শিশুরাই হবে সেই স্মার্ট জনগোষ্ঠী, যারা এই দেশটকে গড়ে তুলবে। কাজেই আজকের এই শিশু দিবসের যে প্রতিপাদ্য বিষয় সেটা অত্যান্ত চমৎকার। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনের পতিপাদ্য হলো ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধি রঙে রঙ্গিন।’ আমি অত্যান্ত ধন্যবাদ জানাই মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে এরকম একটি উপযোগী প্রতিপাদ্য গ্রহণ করার জন্য।  শুক্রবার(১৭ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন ও জাতীয় ‍শিশু দিবস উপলক্ষে শিশু ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত শিশু সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষা করার জন্য আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তি অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩, নারী ও শিশুর প্রতি হিংসা ও সহিংসতা প্রতিরোধে জন্য কর্মপরিকল্পনা ২০১৩ থেকে ২০২৫, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি আইন ২০১৮, বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে জাতীয় মহাপরিকল্প ২০১৮ থেকে ২০৩০ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন সংশোধিত আইন ২০২০ প্রণয়ন করে নারী ও শিশুদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছি।

আমরা জাতির পিতার দেখানো পথ অনুসরণ করে ২৬ হাজার ১৯৯টি সরকারি রেজিষ্ট্রার্ড ও কমিউনিটি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ করে দিয়েছি। আমরা শিশুদের জন্য বিনামূল্যে বই দিয়েছি, শুধু তাই নয় আমরা প্রাথমিক শিক্ষার্থী ১ কোটি ২০ লাখ শিশুকে উপবৃত্তি দিচ্ছি। যা সরাসরি শিশুদের মায়ের নামে সেই টাকা যাচ্ছে। আর সব মিলে প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ শিক্ষার্থী আমাদের কাছ থেকে বৃত্তি ও উপবৃত্তি পাচ্ছে।

বড় হয়ে তিনি (বঙ্গবন্ধু) এদেশের যারা একেবারেই শোষিত, বঞ্চিত ছিলেন, যারা এক বেলা খাবার পেতেন না, যাদের শরীরে কোনো পুষ্টি ছিল না, রোগে চিকিৎসা পেতেন না, ঘরবাড়ি ছিল না সেই সব মানুষদের ভাগ্য পরিবর্তন করার জন্যই সংগ্রাম করেছেন। আমরা মাতৃভাষায় কথা বলতে পারি, বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারি, সেই ৪৮ সাল থেকেই তিনিই আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তারই নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, স্বাধীন জাতি হিসাবে আত্মপরিচয়। কাজেই জাতির পিতার এ জন্মদিনটিকে আমরা শিশু দিবস হিসেবেই ঘোষণা করেছি।

শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের হাতে নতুন বই তুলে দিচ্ছি, যাতে তারা পড়াশোনায় মানোযোগ দেয়। আমরা কম্পিউটার শিক্ষার উপর গুরুত্ব দিয়েছি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য দরকার স্মার্ট জনগোষ্ঠী। শিশুকাল থেকেই শিশুরা যেন কম্পিউটার শেখে সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি এবং প্রাথমিক শিক্ষাক্রমে কম্পিউটার কোডিং পদ্ধতি শেখানো কার্যক্রমে ব্লেডিং অ্যাপ্রোচ প্রোগ্রামের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের দক্ষতা বিকাশে উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

শেখ হাসিনা আরো বলেন, সবাইকে অত্যান্ত মানবিক গুণাবলীসম্পন্ন হতে হবে। যারা প্রতিবন্ধী বা অক্ষম তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে হবে। ‘অন্ধকে অন্ধ বলিও না, পঙ্গুকে পঙ্গু বলিও না’, এটা তো ছোট বেলার শিক্ষা। কাজেই তাদের প্রতি আরও সদয় হতে হবে। আমরা কিন্তু প্রতিবন্ধীদের ভাতা দেই, প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদাভাবে বৃত্তিও দিয়ে থাকি। কাজেই সবাই এই সমাজের।