আজকের দিন তারিখ ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ লালমাইয়ে কোল্ডস্টোর থেকে ২১ লাখ ডিম ও ২৪ হাজার কেজি মিষ্টি জব্দ

লালমাইয়ে কোল্ডস্টোর থেকে ২১ লাখ ডিম ও ২৪ হাজার কেজি মিষ্টি জব্দ


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৮, ২০২৪ , ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


আবুল কালাম মজুমদার, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি : কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় বরল এলাকায় মেঘনা কোল্ডস্টোর নামে একটি হিমাগার থেকে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়েছে।
এ সময় আলু রাখার ওই হিমাগারে অবৈধভাবে মজুদ করে রাখা ২১ লাখ ডিম পেয়েছে জেলা প্রশাসন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে সেখানে ড্রামে সংরক্ষণ করে রাখা ২৪ হাজার কেজি মিষ্টিও জব্দ করা হয়।

কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন ও কুমিল্লা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে এই অভিযান পরিচালনা করেন। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় এই হিমাগারটি বৈধ কোন কাগজপত্র ছাড়াই দীর্ঘদিন ব্যবসা করে আসছে। লাইসেন্সবিহীন হিমাগারে অবৈধভাবে খাদ্যপণ্য মজুদ করার দায়ে প্রতিষ্ঠানটিকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধভাবে মিষ্টি রাখার দায়ে জরিমানা করা হয় আরও ৬০ হাজার টাকা। বিশেষত ঈদের বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির উদ্দেশ্যে প্রতিনিয়ত এভাবে খাদ্যপণ্য মজুত করা হয়।

ভোক্তা অধিকার সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ কোল্ডস্টোরটিতে যে পরিমাণ ডিম মজুদ করা হয়েছে তাতে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করা সম্ভব। এছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় ড্রামে করে বিপুল পরিমাণ মিষ্টি মজুদ করা হয়েছে, তা স্বাস্থ্যকর কিনা বিষয়টি নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। যারা মেঘনা কোল্ডস্টোরে মিষ্টি রেখেছিলেন তাদের মধ্যে খোঁজে পাওয়া আজমির হোটেল, নিউ আজমির হোটেলের মালিকসহ চার ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়েছে। বাকিদেরও খুঁজছে ভোক্তা অধিকার।

গত ঈদের আগে এক সাংবাদিক লালমাই উপজেলা বাগমারা বাজারের আজমির হোটেল ও নিউ আজমির হোটেলের কোল্ডস্টোরে মিষ্টি মজুদ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেছিলেন যা প্রশাসনের নজরে পড়ে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসান শাওন বলেন, ‘এই বিপুল পরিমাণ ডিম কোন কোন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা এবং কতদিন যাবত মজুদ করা হচ্ছিল- কোল্ডস্টোরেজ কর্তৃপক্ষ জানাতে পারেনি। কোল্ডস্টোরেজটির কৃষি বিপণনের লাইসেন্স না থাকায় দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব পণ্য বিপণনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া ৪৮ ঘণ্টা পর এ বিষয়ে প্রতিবেদন দেবেন এই মর্মে এসব পণ্য সঠিকভাবে সঠিক সময়ে খালাস হয়েছ। কুমিল্লা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আছাদুল ইসলাম বলেন, আলু রাখার কোল্ডস্টোরে ডিম ও মিষ্টি মজুদ রাখা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং ভোক্তা অধিকার বিরোধী। এ ধরনের অভিযান নিয়মিত চলবে। আজমির হোটেলের মালিক মোহাম্মদ মোস্তাফা বলেন, এভাবে সবাই রাখেন। কিন্তু আমাকে জরিমানা গুণতে হলো। নিউ আজমির হোটেলের মালিক মাইন উদ্দীনকে ফোন করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।