আজকের দিন তারিখ ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় অধিকাংশ বাসে নেই স্যানিটাইজার

অধিকাংশ বাসে নেই স্যানিটাইজার


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ৯, ২০২১ , ১২:০০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


দিনের শেষে প্রতিবেদক : রাজধানীতে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বৃহস্পতিবার গণপরিবহন ও যাত্রী—দু-ই ছিল কম। তবে আসনের ক্ষেত্রে নির্দেশনা মানা হলেও অন্য কোনো নির্দেশনা মানার আগ্রহ দেখা যায়নি চালক-হেলপারদের মধ্যে। অপরদিকে দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকায় গাবতলী বাস টার্মিনালের পাশে দেখা গেছে ব্যক্তিগত গাড়ির দীর্ঘ সারি। ঢাকার বাইরে যাওয়ার জন্য কোনো যাত্রী গাবতলী বাস টার্মিনালে উপস্থিত হলেই প্রাইভেটকারের চালকরা তাকে নিয়ে টানাটানি শুরু করে দেয়। তবে দূরপাল্লার পরিবহন না চলায় ভাড়াও হাঁকছেন দ্বিগুণ-তিন গুণ।
এ ব্যাপারে গাবতলী এলাকায় কর্তব্যরত পুলিশের সার্জেন্ট হুমায়ূন জানিয়েছেন, আমরা কঠোর অবস্থানেই আছি। প্রাইভেটকারের বেশির ভাগ যাত্রীই বিভিন্ন অজুহাত দেখান। রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে দেখা যায়, অল্প কিছু গণপরিবহনে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা থাকলেও বেশির ভাগ পরিবহনে ছিল না। লকডাউনের প্রথম ও দ্বিতীয় দিনের তুলনায় গতকালও সড়কে কম দেখা গেছে রিকশা, সিএনজিচালিত অটোরিকশা। সকাল থেকেই গণপরিবহনগুলোকে ১০ থেকে ১৫ জন যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। দুই-একটি কোম্পানির বাসকে সিট অনুযায়ী যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে।
একাধিক কোম্পানির বাসচালক ও বাস সহকারীরা জানান, লকডাউনে বন্ধ থাকার পরে বুধবার যেসব পরিবহন সড়কে চলাচল করেছে তাদের খরচের টাকা উঠেছে কোনোমতে। কিছু বাসমালিক টাকা পেয়েছেন, আর কিছু মালিক একেবারেই কোনো টাকা পাননি। সেফটি এন্টারপ্রাইজের চালক আলাউদ্দিন জানিয়েছেন, যাত্রীর চাপ অনেক কম। বুধবার পরিবহনের তেল খরচ ও অন্যান্য খরচ দিয়ে কোনোমতে আমার (চালক) আর সহকারীর বেতন উঠেছে। আমরা মালিককে কোনো টাকাই দিতে পারিনি। বিহঙ্গ পরিবহনের হেলপার সামাদের মুখে মাস্ক না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাস্ক পরে যাত্রী ডাকা যায় না। তবে পকেটে সবসময়ই মাস্ক থাকে বলে তিনি জানান। স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে হেলপার-চালকরা বলছেন, এই গরমে মাস্ক পরে থাকা সম্ভব না। অন্য নির্দেশনা সম্পর্কে তারা পুরোপুরি অবগত না।
এ ব্যাপারে যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, আমরা এক বছরেও গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পারিনি। স্টার্টিং পয়েন্টে বাস স্যানিটাইজ করা বা পরিবহন-শ্রমিকদের মাস্ক পরানো আমরা নিশ্চিত করতে পারিনি। তিনি আরো বলেন, যারা ভাড়া নেয় বা হেলপার তাদের পক্ষে ভাড়া নেওয়া, যাত্রীদের হাত স্যানিটাইজ করা—এত কিছু আসলে সম্ভব না। এসব দায়িত্ব যদি তৃতীয় কোনো পক্ষকে দেওয়া হয়, তাহলে তারা এটা ভালোভাবে করতে পারে। বিনিময়ে তারা যাত্রীদের দেওয়া অতিরিক্ত ভাড়া থেকে তাদের প্রাপ্যটা নিতে পারে। এক্ষেত্রে বাসমালিকরা তৃতীয় পক্ষকে দিয়ে কাজটা করাতে পারে।