আজকের দিন তারিখ ২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য সরকারি এলপিজির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত

সরকারি এলপিজির দাম কমানোর সিদ্ধান্ত


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৭, ২০২০ , ১১:২২ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : সরকারি এলপিজি (তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস) বিপণন কোম্পানি বোতল প্রতি এক’শ টাকা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খুব শিগগিরই গেজেট প্রকাশিত হবে বলে জানা গেছে। ফলে এখন থেকে ১২ কেজি ওজনের সরকারি এলপিজির গ্যাসের সিলিন্ডার ৬০০ টাকায় পাওয়া যাবে।
যদিও বিশাল পরিমাণ চাহিদার বিপরীতে সরকারি এলপিজি উৎপাদন হয় খুবই সামান্য। দেশের এলপিজির যে চাহিদা তার মাত্র দুই শতাংশ উৎপাদন করে সরকারি রাষ্ট্রীয় কোম্পানি। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ জুলাই এলপিজির দাম কমানো সংক্রান্ত এক বৈঠক হয় বিপিসির কার্যালয়ে। সেখানে আগে থেকেই কমিটির করা সুপারিশ বাস্তবায়নে সর্বোসম্মত সিদ্ধান্ত হয়। আর্ন্তজাতিক বাজারে এলপিজির উপকরণের দাম কমেছে আমরাও দাম কমিয়েছি। যাতে মানুষ সুফল পায়।
বাংলাদেশে দ্রুত বাড়ছে এলপি গ্যাসের ব্যবহার। আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় এলপি গ্যাসেই বিকল্প ভরসা হয়ে উঠেছে। জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, ২০০৮-০৯ অর্থ বছরে দেশে এলপিজি ব্যবহৃত হয়েছে ৪৪ হাজার ৯৭৪ মেট্রিক টন। ৯ বছরের ব্যবধানে এই চাহিদা ৭ লাখ ১৩ হাজার মে. টন ছাড়িয়ে গেছে। যার মধ্যে মাত্র বছরে ২০ হাজার টন উৎপাদন সক্ষম সরকারি এলপিজি কোম্পানির। ২০৪১ সালে এলপিজির চাহিদা ৮০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জ্বালানি বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহা শের আলী বলেন, গত ১০ বছরে ব্যাপক আকারে এলপিজির ব্যবহার বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি হারে (৯২ শতাংশ) বেড়েছে ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে। আর গড় ৩৫ শতাংশ হারে বেড়েছে এলপিজি ব্যবহার। ৫৬টি কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি কোম্পানি উৎপাদনে রয়েছে। আমরা মনে করছি যে সব কোম্পানি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এগুলো যদি উৎপাদনে আসে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আর কোনো সংকট হবে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে গ্যাসের উপজাত কনডেনসেট থেকে এলপিজি উৎপাদন করা হচ্ছে। এর পাশাপাশি আমদানিকৃত ক্রড অয়েল থেকে সামান্য পরিমাণে এলপিজি পাওয়া যায়। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে কনডেনসেট ও ক্রড অয়েল থেকে প্রাপ্ত এলপিজির পরিমাণ ছিল ১৯ হাজার ৬৯৭ মে. টন। একই সময়ে আমদানি করা হয়েছে ৬ লাখ ৯৪ হাজার মে. টন। বাংলাদেশের দু’টি কোম্পানি ত্রিপুরাতে এলপিজি রপ্তানির জন্য সম্প্রতি এমওইউ স্বাক্ষর করেছে। যার প্রধান উৎস হবে আমদানি।
বিষয়টি নিয়ে সরকারি এলপিজি কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ ফজলুর রহমান বলেছেন, সরকারে সিদ্ধান্ত আছে এলপিজির বাজার সম্প্রসারণের। ইস্টার্ন রিফাইনারি দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপন করা হলে তখন এলপিজি উৎপাদন সক্ষমতা বাড়বে। একই সঙ্গে মহেশখালীতে এলপিজি প্লান্ট স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। অদূর ভবিষতে সেটা বাস্তবায়ন হলে সরকারি এলপিজির উৎপাদন সরবরাহ অনেক বাড়বে।