আজকের দিন তারিখ ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা: আসামি মানিক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা: আসামি মানিক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ২১, ২০২১ , ২:০৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


দিনের শেষে প্রতিবেদক : রাজধানীর মিরপুরের ইস্টার্ন হাউজিং এলাকায় পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা মামলার আসামি মো. মানিক র‍্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। শুক্রবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। বেলা সাড়ে ১১টায় র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (এএসপি) ইমরান খান ইত্তেফাক অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। র‍্যাবের দাবি, মানিক নামে ওই ব্যক্তি পল্লবীতে সন্তানের সামনে বাবাকে কুপিয়ে হত্যা মামলার ৫ নম্বর আসামি।
গত ১৬ মে রাজধানীর পল্লবীতে জমি নিয়ে বিরোধে সাহিনুদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে সন্তানের সামনে চাপাতি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালের সম্পৃক্ততা পেয়েছে র‌্যাব।
বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘১৬ মে দুপুরে নিজ সন্তানের সামনে সাহিনুদ্দিনকে চাপাতি, রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এই ঘটনায় যাদের সম্পৃক্ততা ছিল র‌্যাব তাদেরকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে। ১৯ মে চাঁদপুর থেকে হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। ২০ মে রাতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী এম এ আউয়ালকে ভৈরব থেকে গ্রেফতার করা হয়। এছাড়া পটুয়াখালীর বাউফল থেকে ১৯ নম্বর আসামি জহিরুল ইসলাম বাবুকে গ্রেফতার করে র‌্যাবের আরেকটি দল। তারা হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।’
র‍্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, ‘হত্যার ঘটনার চার পাঁচদিন আগে এম এ আউয়ালের কলাবাগানের অফিসে মোহাম্মদ তাহের ও সুমন এই হত্যার পরিকল্পনা করে। মাঠ পর্যায়ে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সুমনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এরপর সুমন সক্রিয়ভাবে কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করে। এসময় বেশ কয়েকজন কিলিং মিশনে জড়িত ছিল। পাঁচ থেকে সাত মিনিটের মধ্যে পুরো ঘটনাটি শেষ হয়। ঘটনা শেষে সুমনসহ বাকিরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় সুমন এক নম্বর আসামি আউয়ালকে মোবাইলে জানায় ‘স্যার ফিনিশড’।’
র‌্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, সুমন, বাবুসহ কয়েকজন একটা মিটিং করে। এরপর ঘটনার দিন তারা সাহিনুদ্দিনকে ঘটনাস্থলে ডেকে নেয়। এসময় সাহিনুদ্দিন তার সন্তান মাশরাফিকে নিয়ে সেখানে যায়। মীমাংসার কথা বলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসী সুমন, মানিক, হাসান, ইকবালসহ ১০-১২ জন সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এক বিঘার বেশি পরিমাণ জমি কেনার চেষ্টার করছিল সাবেক এমপি আউয়ালের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ‘হ্যাভিলি প্রপার্টি’। নিহত সাহিনুদ্দিন ও তার স্বজনরা এই জমির মালিক। কম টাকায় জমি কিনতে না পারায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানায় র‌্যাব। এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগম পল্লবী থানায় ২০ জনের নামে মামলা করেন।