আজকের দিন তারিখ ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// সোমবার থেকে ‘সীমিত লকডাউন’, তবে এতদিন কী ছিল?

সোমবার থেকে ‘সীমিত লকডাউন’, তবে এতদিন কী ছিল?


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২৭, ২০২১ , ১:০৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে ডেস্ক :  করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় সোমবার থেকে ‘সীমিত পরিসরে’ এবং আগামী ১ জুলাই থেকে সাতদিন সারাদেশে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে প্রশ্ন উঠেছে, সোমবার থেকে যদি সীমিত পরিসরে লকডাউন হয় তবে এতদিন কী ছিল? সর্বশেষ ১৬ জুন জারি করা ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ ১৫ জুলাই পর্যন্ত বলবৎ থাকার কথা। তবে কি সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত এই বিধিনিষেধের চেয়ে ভিন্ন কিছু হবে- এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের বিধিনিষেধ জারি আছে, পাশাপাশি ১ জুলাই থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

সবশেষ গত ১৬ জুন মধ্যরাত থেকে ১৫ জুলাই মধ্যরাত পর্যন্ত বর্ধিত ‘বিধিনিষেধ’-এর প্রজ্ঞাপনে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত ও বেসরকারি অফিস, ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করে খুলে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে কোডিড-১৯ এর উচ্চঝুঁকি সম্পন্ন জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকগণ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কারিগরি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে নিজ নিজ অধিক্ষেত্রের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধি মোতাবেক লকডাউনসহ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন বলেও উল্লেখ করা হয়। আগামী সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তিনদিন সেটি বলবৎ থাকবে। একইভাবে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে কীভাবে কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়ন করা হবে- এই তিনদিনে সেই প্রস্তুতিও নেওয়া হবে।

বিধিনিষেধ চলমান আছে, এসময় তিনদিনের সীমিত লকডাউন অর্থ কী- এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, যে বিধিনিষেধ চলছে সেটি বলবৎ আছে। ১ জুলাই থেকে সব বন্ধ করে দেওয়া হবে। এই লকডাউন চলবে সাতদিন। সেটার জন্য প্রস্তুতি নিতে কয়েকদিন (তিনদিন) সময় নেওয়া হলো। এর বেশি কিছু বলতে চাননি তিনি। এ দিকে এর ব্যাখ্যা জানতে একাধিকবার চেষ্টা করেও প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ লেনিন চৌধুরী মনে করেন, শাটডাউন, লকডাউন, কঠোর বিধিনিষেধ- একেক সময় একেক শব্দ ব্যবহারের কারণে নানা দ্বান্দ্বিক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। একটা কঠোর বিধিনিষেধ চলমান আছে। তাহলে সোমবার থেকে বুধবার আবার সীমিত বলায় জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি করে। ১ তারিখ থেকে যে কঠোর লকডাউন দেওয়া হবে সেটি যেন আসলেই কঠোর হয় সে দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি।

সোমবার থেকে লকডাউন শুনে অনেকেই ইতোমধ্যে দোকান কর্মচারীদের ছুটি দিয়ে এখন বিপাকে পড়েছে এমন দাবি করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, সোম থেকে বুধবার আমরা কী করবো- তার কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা আমাদের সামনে নেই। সোমবার থেকে লকডাউন শুনে আমরা সব বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেই। কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় কঠোর লকডাউন পেছানোর ঘোষণায় আমরা সংশয়ে পড়ে গেছি।

লকডাউনে যা কিছু বন্ধই থাকবে
সকল পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান (ওয়ালিমা), জন্মদিন, পিকনিক পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। আবাসিক হোটেল, রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকান সকাল ৬টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত খাদ্য বিক্রি (পার্সেল) করতে পারবে এবং হোটেলের আসন সংখ্যার অর্ধেক সেবাগ্রহীতাকে সেবা প্রদান করতে পারবে। আর সব ধরনের গণপরিবহন যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচলের বিষয়টিও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করবে।