দিনের শেষে প্রতিবেদক : রাজধানীর বিভিন্ন ব্যস্ততম বাস স্ট্যান্ড, অন্ধকার গলিতে অবস্থান করে যেকোন ব্যক্তিকে টার্গেট করে ছিনতাইকারী বিভিন্ন চক্রের সদস্যরা। কখনো কখনো আবার যাত্রীবেশে উঠে পড়ে বাসে। সুবিধামতো সময়ে টার্গেট ব্যক্তিকে কৌশলে চেতনানাশক প্রয়োগ করে। যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও অজ্ঞান পার্টি এবং ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ। গ্রেপ্তাররা হলো, আব্দুর রহমান শুভ, ইয়াছিন আরাফাত জয়, বাবু মিয়া, ফরহাদ, হৃদয় সরকার, আকাশ, মো. জনি খাঁন, মো. রোকন, মো. মেহেদী হাসান ওরফে ইমরান, মো. মনির হোসেন, মো. জুয়েল, জাহাঙ্গীর হোসেন ওরফে মাইকেল, আজিম ওরফে গালকাটা আজিম, শাকিল ওরফে লাদেন, ইমন, মো. রাজিব, রাসেল, মিন্টু মিয়া ওরফে বিদ্যুৎ, মো. মাসুদ, তাজুল ইসলাম মামুন, মো. সবুজ, মো. জীবন, মো. রিয়াজুল ইসলাম, মো. মুন্না হাওলাদার, মো. শাকিল হাওলাদার, মো. ফেরদৌস ও মো. আবুল কালাম আজাদ।

বুধবার ও শুক্রবার রাজধানীর লালবাগ, হাজারীবাগ ও নিউমার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত লোহার রড, দা, ছোরা, চাকু, চেতনানাশক ট্যাবলেট ও মলম উদ্ধার করা হয়। শনিবার বেলা ১১ টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডিবির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি-দক্ষিণ) মো. মাহবুব আলম।  ডিবির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার বলেন, সাধারণত রমজানের সময় ও যেকোন উৎসব তথা ঈদের আগে ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও অজ্ঞান পার্টি ও ছিনতাইকারী চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদেরকে প্রতিরোধে ডিএমপি কমিশনারের বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। নির্দেশনানুযায়ী তাদের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধে বিশেষ অভিযানে নামে গোয়েন্দা বিভাগ। মাহবুব আলম বলেন, ডিবির রমনা ও লালবাগ বিভাগ বুধবার ও শুক্রবার লালবাগ, হাজারীবাগ ও নিউমার্কেট এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে এ চক্রের ২৭ জনকে গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে ডিবিরি এই কর্মকর্তা জানান, তারা দলবদ্ধভাবে ঢাকা শহরের ব্যস্ততম বাস স্ট্যান্ড, অন্ধকার গলিতে অবস্থান করে যেকোন ব্যক্তিকে টার্গেট করে। কখনো কখনো যাত্রীবেশে বাসে উঠে পড়ে। সুবিধামতো সময়ে টার্গেটকৃত ব্যক্তিকে সুকৌশলে চেতনানাশক প্রয়োগ করে। যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার বলেন, যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাদের সাথে থাকা নগদ টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশ এ ধরণের কয়েকটি ঘটনার তদন্তে নেমে এ চক্রগুলির সন্ধান পায়। এধরনের অপরাধের সাথে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে ২০ জনের বিরুদ্ধে চুরি, দস্যুতা, ডাকাতির প্রস্তুতি ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলেও জানান ডিবির যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম।