আজকের দিন তারিখ ৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় মানুষকে ঘরে রাখতে কারফিউ জারির পরামর্শ

মানুষকে ঘরে রাখতে কারফিউ জারির পরামর্শ


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৯, ২০২১ , ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


দিনের শেষে প্রতিবেদক :   দেশজুড়ে ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়া করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধ কঠোর বিধিনিষেধ মানছে না মানুষ। সড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদারি আর গ্রেপ্তার-জরিমানা উপেক্ষা করেই লোকজন অপ্রয়োজনে বাইরে বের হচ্ছে। এতে করোনার বিস্তার ঠেকানো অসম্ভব হয়ে পড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এ পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশে চলমান লকডাউনের পরিবর্তে কারফিউ বা ১৪৪ ধারা জারির পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল এনসিডিসি পরিচালক ও অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন। বৃহস্পতিবার রাতে করোনভাইরাস ভয়াবহ বিস্তার প্রসঙ্গে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ পরামর্শ দেন।

ডা. রোবেদ আমিন বলেন, দেশে প্রতিদিনই করোনা আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। কিন্তু সেই তুলনায় মানুষের মধ্যে ভীতি কাজ করছে না। মানুষজন ইচ্ছেমতো বাইরে বের হচ্ছে, ঘোরাফেরা করছে। দেশে কঠোর লকডাউন চলছে কিন্তু মানুষের চলাফেরা বা জমায়েত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে করোনার ভয়াবহ সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। এক্ষেত্রে দেশের মানুষ কারফিউ বা ১৪৪ ধারার মতো কর্মসূচিগুলো ভয় পায় এবং প্রতিপালনের চেষ্টা করে।

এক প্রশ্নের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, এ বিষয়ে আমরা এখনও অফিশিয়ালভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রাণলয়কে কোনো প্রস্তাব দিইনি। অভ্যন্তরীনভাবে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলাপ আলোচনা করছি। আমরা মোটামুটি কারফিউ ঘোষণা না হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ কঠিক হয়ে যাবে। তিনি বলেন, কঠোর লকডাউনেও সবাই বের হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জরিমানা করছে। গ্রেপ্তারও করছে। কিন্তু সেই তুলনায় তো বাইরে বের হওয়া কমছে না। আজও সড়কে তীব্র যানজট ছিলো। মাত্র কয়েকদিনের জন্যে মানুষের কিসের এতো জরুরি কাজ থাকে। অন্তত কিছুদিন সব কিছু বন্ধ না রাখলে করোনা’র আরও ভয়াবহ রূপ দেখতে পাবে জাতি।

প্রসঙ্গত, গত ১ জুলাই থেকে সাত দিনের কঠোর লকডাউনের প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। সরকারের পক্ষ থেকে এবার বিধিনিষেধ ‘কঠোর’ই করার কথা বলা হয়। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হলেই গ্রেপ্তার করার কথা বলে পুলিশও। বিধিনিষেধ মানতে বাধ্য করতে মাঠে নামানো হয় সেনাবাহিনীও। এরপর ৫ জুলাই বিধিনিষেধের (লকডাউন) মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়।