আজকের দিন তারিখ ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব ভারতে নির্বাচনী র‌্যালি থেকেই করোনার বিপর্যয়?

ভারতে নির্বাচনী র‌্যালি থেকেই করোনার বিপর্যয়?


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৫, ২০২১ , ১২:৫৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে প্রতিবেদক : ভারতে মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। দৈনিক সংক্রমণের সংখ্যা এখন প্রায় তিন লাখ ছাড়িয়ে গেছে। এত বেশি মানুষ মারা যাচ্ছে যে শ্বশ্মানঘাটগুলোতে কোনো জায়গা খালি নেই। ফলে খোলা মাঠে গণহারে মৃতদের শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে হচ্ছে। আবার একই সময়ে দেশটির চারটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, তামিলনাড়ু ও কেরেলায় বিধানসভা নির্বাচন চলছে। সেখানে করোনাবিধি না মেনেই নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে নেতাকর্মীরা। এমতাবস্থায় প্রশ্ন উঠেছে, নির্বাচনী র্যালির কারণেই কী ভাইরাসটির সংক্রমণ এত দ্রুত ছড়াচ্ছে?
বিষয়টি নিয়ে একটি গবেষণামূলক প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। সেখানে বলা হয়েছে, ভারতে করোনার সংক্রমণ রেকর্ড ছড়াচ্ছে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পরেছে। এক্ষেত্রে অনেকেই দেশটির রাজনৈতিক দলগুলোকে দোষারোপ করছেন। বিশেষ করে চারটি রাজ্যে চলমান নির্বাচনের প্রচারণায় জনসাধারণের গণজমায়েত থেকেই ভাইরাসটির ব্যাপক সংক্রমণ ছড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। এ বিষয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা বিজয় চৌথাইওয়ালে বলেন, করোনার উর্ধ্বমুখী সংক্রমণের সঙ্গে নির্বাচনী র্যালির কোনো সম্পর্ক নেই। ধর্মীয় বা রাজনৈতিক জমায়েতের সাথে এর কোনো যোগসূত্র নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে ভারতে করোনার সংক্রমণ কমতে থাকে। কিন্তু চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ আবারও বাড়তে শুরু করেছে ভাইরাসটির সংক্রমণ। যা বিশ্বের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিনই আক্রান্তের সংখ্যা পূর্বের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
ঠিক একই সময়ে চারটি রাজ্যে চলমান নির্বাচনে সভাগুলোতে অসংখ্য মানুষের জমায়েত হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অধিকাংশই মানছেন না। এমনকি খোদ রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা নেই। তাদের অনেকেই মাস্ক পরিধান করছেন না, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না। এমন পরিস্থিতিতে গত ২২ এপ্রিল থেকে নির্বাচনী র্যালির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে কমিশন। তবে সভা করে অনুমতি দিলেও সেখানে সর্বোচ্চ ৫০০ জন মানুষ উপস্থিত থাকতে পারবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়।