আজকের দিন তারিখ ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে ডিম-পেঁয়াজ-রসুন

বাড়তি দামেই কিনতে হচ্ছে ডিম-পেঁয়াজ-রসুন


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২৫, ২০২৩ , ২:৪৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : বাজারে ডিম ও পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই বাড়তি। মাছ-মাংস কিনতেও হিমশিম খাচ্ছেন ক্রেতারা। এবার বাড়তি দাম এসে ঠেকেছে মসলাজাত পণ্য রসুনে। বাড়তি দামে রসুন কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। গতকাল মিরপুরের মুসলিম বাজার, ১১ নাম্বার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, সব পণ্যের পাশাপাশি রসুনের দামও এখন বেশি। বেশ কয়েক মাস ধরে অস্থির মাছ, মাংসের বাজার, কাঁচাবাজার, এমনকি মসলাজাত পণ্যের বাজার। সম্প্রতি দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুরু হয়েছে তদারকি ও আমদানি। ভারত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর অন্যান্য দেশ থেকে আমদানির অনুমতিও দেওয়া হয়েছে। এরপরও নিয়ন্ত্রণে নেই পণ্যের কেনাবেচা। বাজার ঘুরে দেখা গেলো, দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ থেকে ৯৫ টাকা কেজিতে। মহল্লার কোনো কোনো দোকানদার ১০০ টাকাও রাখছেন। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। কয়েক দিনের ব্যবধানে রসুনের দামও কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। মিরপুর ১২ নাম্বার এলাকার মতলব স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারী রাইসুল ইসলাম বলেন, মাস দেড়েক আগেও রসুনের কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকার মধ্যে ছিল। সেটা বাড়তে বাড়তে ২৫০ টাকায় এসেছে। গত দুই থেকে তিন দিনের ব্যবধানেই আমদানি করা রসুনের কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায়। দেশি রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। এই বিক্রেতা আরও বলেন, পাইকারিতে দাম বাড়ায় খুচরায়ও বেড়েছে। তদারকি-অভিযান শুরু হলে পণ্যটির দাম হয়তো কিছুটা কমবে। বাজারে পেঁয়াজ, রসুনের মতো বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে আদা। কেজিতে ১০ টাকার মতো বেড়ে ইন্দোনেশিয়ার আদা ২৫০ থেকে ২৬০ এবং মিয়ানমারের আদা ২৫০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এদিকে, দাম কমার পর প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৪ টাকায়। খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার ১৫৪ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোলা চিনি প্রতিকেজি ১৩০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনির কেজি ১৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু বাজারে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায় খোলা চিনি পাওয়া গেলেও প্যাকেটজাত চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। অন্যদিকে, কোরবানির ঈদের পর থেকেই বাড়ছে আলুর দাম। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের ছুটি, বৃষ্টি, পরিবহন সংকটের কারণে আলুর পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় দাম বেশি। যদিও বাজারে পর্যাপ্ত আলু রয়েছে। উল্টো কেজিতে প্রায় ১০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। কাঁচাবাজারের দামের কথা বলাই বাহুল্য। বাজারে ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বেশির ভাগ সবজি। প্রতি কেজি পটল, চিচিঙা, ছোট শসা, জালি কুমড়া এবং কাঁকরোল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। ঝিঙা, বরবটি, রান্না করার শসা, কচুর মুখী, করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। গোল বেগুন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়। কাঁচামরিচ প্রতিকেজি ২০০ টাকায় এবং টমেটো ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি ডজন মুরগির ডিম পাওয়া যাচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। শাহজালাল ডিম ভাণ্ডারের বিক্রয় কর্মী মাজেদুল ইসলাম বলেন, এক সপ্তাহ পর ডিমের বাজারে স্থিতিশীলতা আসছে। ১৮৫ টাকা ডজন হয়ে গিয়েছিল। ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কমেছে। তবে সামনের দিকে ডিমের দাম কমার সম্ভাবনা কম। তিনি আরও জানান, ডজন বা খাঁচা ধরে ক্রেতাদের ডিম কেনার প্রবণতা কমেছে। ভাঙা ডিমও বিক্রি বেড়েছে। মাংসের বাজারের চিত্রও অভিন্ন। ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা। সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি মুরগি কিনতে কেজিতে খরচ ৫৫০ থেকে ৭০০ টাকা। গরু ও খাসির মাংস আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।