আজকের দিন তারিখ ১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
প্রবাসে বাংলা বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উদ্বেগ

বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের উদ্বেগ


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১০, ২০১৬ , ১:৩৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: প্রবাসে বাংলা


114ইসমাইল হোসন স্বপন, ইতালী থেকে:  বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) ভাইস প্রেসিডেন্ট ও নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বার্ট কোয়েনডার্স। বাংলাদেশের সরকার এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোকে একটি সত্যিকারের সংলাপে অংশ নিয়ে দেশের স্থিতিশীলতা, গণতন্ত্র এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

স্থানীয় সময় বুধবার ইউরোপীয় পার্লামেন্টে (ইপি) বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে অনুষ্ঠিত এক বিতর্কের সূচনা বক্তব্যে কোয়েন্ডার্স এসব কথা বলেন।

ডাচ এ রাজনীতিবিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সরকার এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বাস্তব সংলাপ হওয়ার এখনই সময়।

বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া হত্যাকাণ্ডগুলো সম্পর্কে উদ্বেগ প্রকাশ করে ডাচ এই রাজনীতিবিদ আরো বলেন, বাংলাদেশে সামগ্রিকভাবে একটি নতুন রাজনৈতিক ও সামাজিক ঐকমত্য দরকার, যাতে করে দেশটিতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও রাজনৈতিক স্বাধীনতা সংরক্ষিত হবে।

কোয়েন্ডার্স বলেন, নির্বিচারে গ্রেপ্তার এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের হয়রানি এখনই বন্ধ করা প্রয়োজন। সহনশীলতার চর্চা ও রাজনৈতিক মতপার্থক্য নিয়ে বিতর্কের পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন।

বক্তব্যে নেদারল্যান্ডসের এই মন্ত্রী বলেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে হবে এবং যারা এসব ভয়াবহ হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

বাংলাদেশের সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ক্রমবর্ধমান সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে কোয়েন্ডার্স বলেন, ইইউ বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি সমুন্নত দেখতে চায়।

বাংলাদেশের সব নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, দেশটির বর্তমান পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে ইইউ। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপের মাধ্যমে তাঁরা তাদের পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যাবেন।

ডাচ এই রাজনীতিবিদ বলেন, ২০১৪ সালে ‘বিরোধী দল’ বর্জন করা এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে সমালোচিত হওয়া ‘বিতর্কিত’ নির্বাচনের পর থেকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক, মানবাধিকার এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির শুধু অবনতিই হয়েছে ।