আজকের দিন তারিখ ১৪ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৩১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে কারা এগিয়ে

ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দৌড়ে কারা এগিয়ে


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ৮, ২০২২ , ৪:৩৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এপ্রিল মাসেই। দেশটির ভোটাররা ভোট দিয়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য তাদের প্রেসিডেন্ট বেছে নেবেন। বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য লড়াই করছেন। আজ শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্রান্সের নির্বাচন দুই দফায় অনুষ্ঠিত হবে।প্রথম ধাপের ভোট ১০ এপ্রিল আর দ্বিতীয় ধাপের ভোট হবে ২৪ এপ্রিল। দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে যিনি বিজয়ী হবেন তিনিই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হবেন।তারপর ১৩ মে প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

প্রার্থী যারা

এবারের নির্বাচনে মোট প্রার্থী ১২ জন। তাদের মধ্যে আটজন পুরুষ এবং চারজন নারী। প্রধান ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে তিনজন দক্ষিণপন্থী এবং দুজন বামপন্থী ফরাসি রাজনীতিক।

বর্তমান প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য লড়াই করছেন। তাকে দেখা হয়, একজন মধ্যপন্থী রাজনীতিক হিসেবে। তিনি রিপাবলিক অন দ্য মুভ পার্টির প্রতিনিধিত্ব করছেন। তার প্রতি দক্ষিণ ও বাম উভয় শিবিরের ভোটারদের সমর্থন রয়েছে।

মারিন লা পেন এবং এরিক জিম্যো তারা দুজনেই অতি-দক্ষিণপন্থী। তাদের মধ্যে জিম্যোকে দেখা হয় সবচেয়ে বেশি কট্টরপন্থী হিসেবে। আর ভ্যালেরি পেক্রেস প্রার্থী হয়েছেন দক্ষিণপন্থী রিপাবলিকানদের।

অতি-বামপন্থী রাজনৈতিক দল ফ্রান্স আনবাউড থেকে নির্বাচন করছেন জ্যঁ-লুক মেলেশঁ। ইয়ানিক জাদো প্রার্থী হয়েছেন গ্রিন পার্টি থেকে। বেশ কিছু বড় ধরনের ধাক্কা খাওয়ার পর ফ্রান্সের ঐতিহ্যবাহী বাম রাজনৈতিক দলগুলো এখন আর আলোচনায় নেই।

সোশালিস্ট পার্টি থেকে নির্বাচনে অংশ নেন ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন ২০১২ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, বাম শিবিরের এই বিভাজনের কারণে এমানুয়েল মাখোঁ লাভবান হতে পারেন, যদিও ডানপন্থীরা অভিযোগ করছেন, মাখোঁ তাদের নীতি অনুসরণ করছেন।

ধারণা করা হচ্ছে, যদি কোন একজন প্রার্থী প্রথম দফার নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট না পান, তাহলে যে দুজন প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পাবেন তারাই দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে অংশ নেবেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রথম দফার নির্বাচনে কেউ ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পাবেন না।

বিবিসি বলছে, নির্বাচনী প্রচারণায় বড় ধরনের জায়গা দখল করে নিয়েছে ইউক্রেনের যুদ্ধ। ভোটারদের কাছে প্রধান ইস্যু এখন জীবন নির্বাহের খরচ বেড়ে যাওয়া। তারপরই রয়েছে স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, অবসর ভাতা, পরিবেশ এবং অভিবাসনের মতো বিষয়গুলো।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ছ’মাস ধরে যেসব সমীক্ষা চালানো হচ্ছে তাতে এগিয়ে আছেন এমানুয়েল মাখোঁ। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের পর তিনি আরও এগিয়ে যান। কিন্তু পরে অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে তার ব্যবধান কমতে থাকে। তবে বাকি প্রার্থীদের তুলনায় বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে আছেন মারিন লা পেন।

twitter sharing button