আজকের দিন তারিখ ২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস লীড ‘পাপন ভাই আমাকে চাপে রাখেন’

‘পাপন ভাই আমাকে চাপে রাখেন’


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২৩, ২০২২ , ১১:০১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস লীড


দিনের শেষে প্রতিবেদক : টেস্ট দল যখন হারতে হারতে দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে তখন সাকিব আল হাসানকে দেয়া হয় নেতৃত্ব। তাকে ঘিরে এখন ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন। এবার টি-টোয়েন্টিতেও একই অবস্থা। অধিনায়ক হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয়েছে সাকিবকে। কেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাকে ফের অধিনায়ক করলো সেই প্রসঙ্গে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার সংবাদমাধ্যমকে জানালেন তিনি অধিনায়ক থাকলে বিসিবি সভাপতির তাকে চাপে রাখতে সুবিধাই হয়। তিনি বলেন, ‘এমন হতে পারে পাপন ভাই (নাজমুল হাসান) আমাকে চাপে রাখেন। এটা থাকলে (অধিনায়কত্ব) একটা চাপে রাখার সুযোগ থাকে। আমার কাছে মনে হয় যেহেতু চ্যালেঞ্জিং জায়গাগুলো (অধিনায়কত্ব) এবং সেই জায়গাগুলোতে আমি বোর্ডের কাছে সেরা অপশন। হয়তো এ কারণে আমাকে নির্বাচন করা হয়েছে।’ বলার অপেক্ষা রাখে না মাঠের বাইরে নানা বিতর্কে জড়ালেও সাকিব বাংলাদেশের সেরা ক্রিকেটারদের একজন। যে ফরম্যাটেই হোক, তাকে বাদ দিয়ে দল গড়া কঠিন।

আর তিনি অধিনায়ক থাকলে প্রত্যাশার পারদটাও থাকে উচুঁতে। এই তারকা নিজের গ্রহণযোগ্যতা বেশ ভালো করেই জানেন। এশিয়া কাপে খেলতে যাওয়ার আগে গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন সাকিব। সেখানেই জানিয়ে দেন নিজের নতুন শুরুর পরিকল্পনা ও ক্রিকেট নিয়ে নিজের চিন্তার কথা।
অন্যদিকে শুধু পাপনের চাপে নয় নিজের আগ্রহের জায়গা থেকেও যে সাকিব এবার বেশ অনুপ্রাণিত তা জানিয়ে দেন অকপটে। তিনি বলেন, ‘এখন আমি অনেক অনুপ্রাণিত। আমি চেষ্টা করবো আমার যে অভিজ্ঞতা আছে সেটা দিয়ে যতটুকু দলের ভালো করার চেষ্টা করা যায়।’ এবার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ভিন্ন এক সাকিবকে দেখা যাচ্ছে। বিতর্ক যেন স্পর্শই করতে পারেনি তাকে।

‘মুশফিক কিপিং করলে জীবন সহজ হয়ে যায়’
অনেক দিন ধরেই টি-টোয়েন্টিতে মুশফিকুর রহীমের পরিচয় শুধু ‘ব্যাটার।’ এখন তিনি আর উইকেটের পেছনে থাকেন না। তবে এবার এশিয়া কাপ থেকেই এই সংস্করণে ফিরে আসছে তার পুরনো পরিচয়। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারকে আবার কিপিং গ্লাভস হাতে দেখতে চান অধিনায়ক সাকিব। তিনি বলেন, ‘উইকেটকিপিং যেটা হচ্ছে উনি (মুশফিক) এটা করলে আমার কাজটা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এটার সবচেয়ে বড় কারণ হচ্ছে, টি-টোয়েন্টিতে সময়টা খুব কম থাকে। যেটা হয়, ফিল্ডিংয়ের অ্যাঙ্গেলগুলো উনি খুব সহজে বদলাতে পারেন। আমার কাছে শোনারও দরকার নাই। আমার দায়িত্বটা অনেক সহজ হয়ে যায়।’ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে মুশফিক সবশেষ কিপিং করেছেন সেই ২০২০ সালের মার্চে। সেবার জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর থেকে সদ্য সমাপ্ত জিম্বাবুয়ে সফর পর্যন্ত ২৬ ম্যাচে কিপিং করেছেন নুরুল হাসান সোহান, ৮টিতে লিটন কুমার দাস ও ১টিতে এনামুল হক বিজয়। মূলত গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ক্যাচ ফসকানো, কিপিংয়ে নিয়মিত ভুল আর কিপার হিসেবে সোহানের উত্থান, সব মিলিয়েই কিপিং ছাড়তে হয় মুশফিককে।

‘আমরা ফোর-ফাইভের ছাত্র নই’
বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের মতে, নিজের কাজটা দলের সবারই জানা। বিশেষ করে, অভিজ্ঞদের এসব শিখিয়ে-পড়িয়ে দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন এই অলরাউন্ডার। দলের নতুন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট শ্রীধরন শ্রীরামের সঙ্গে ক্রিকেটারদের প্রথম সভাও ছিল এ দিনই। সেই সভায় মূলত পরিচয়পর্ব ও টুকটাক আলোচনা হয়েছে তাদের মধ্যে। সাকিব পরে সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, শিগগিরই তারা এশিয়া কাপের পরিকল্পনা নিয়ে কথা বলবেন। টি-টোয়েন্টি দলে চলছে দিন বদলের হওয়া। আসছে নানা পরিবর্তন, সেখানে ভূমিকা রাখছেন সাকিবও। তবে অধিনায়ক চান সবাই মিলেই দলের পরিবর্তনগুলো নিয়ে কাজ করুক। তিনি বলেন, ‘এই পরিকল্পনাগুলো সচরাচর কোচ ও অধিনায়ক মিলে করে থাকে। আমাদের এখানে একজন নতুন দায়িত্বে এসেছেন তার সঙ্গে বসে এগুলো করা হবে। এরকম পার্টিকুলার কোনো পরিকল্পনা থাকবে বলে আমার মনে হয় না। যেটা হয়েছে সবাই অনেক ক্রিকেট খেলেছে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যারা খেলে তাদের নিজেদের আইডিয়া থাকে কিভাবে দলকে জেতানো যায়। সবাই যার যার জায়গা থেকে সেভাবেই চেষ্টা করবে বলে মনে করি। এজন্য আলাদা করে বলে দেওয়ার কিছু নেই। আমরা ফোর-ফাইভের স্টুডেন্ট না যে আমাদের শিখিয়ে শিখিয়ে দিতে হবে। ওই জায়গায় আমরা আসলে নেই।’

এশিয়া কাপে ফাইনাল কঠিন, তবে…
এশিয়া কাপে ৩০শে আগষ্ট আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ। গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দুই ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশের ফাইনাল খেলার সম্ভাবনা বাড়বে। তবে অধিনায়ক সাকিব মনে করেন কঠিন বাস্তবতায় ফাইনাল খেলা কঠিন। তিনি বলেন, ‘আমাদের জন্য কঠিন। রিয়েলিস্টিক চিন্তা করলে আমরা যদি এই দুইটা ম্যাচ ভালো খেলতে পারি এবং আগের যে সিরিজগুলো খেলেছি বা এক দেড় বছরে যে সিরিজগুলো খেলেছি সেখান থেকে উন্নতির ছায়া যদি রাখতে পারি তাহলে একটা অ্যাচিভমেন্ট হবে এই টুর্নামেন্টে।’