আজকের দিন তারিখ ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বি, নাভিশ্বাস ক্রেতাদের

নিত্যপণ্যের দাম আকাশচুম্বি, নাভিশ্বাস ক্রেতাদের


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ১১, ২০২০ , ২:৩০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : আকাশ ছুঁয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য। প্রতিদিনই বাড়ছে দাম। আগের দিনের মূল্য ছাড়িয়ে যাচ্ছে পরের দিন। চাল, ডাল, তেল, লবণ, আলু, পেঁয়াজ, মরিচ, আদা, শাকসবজি-এমন কোন ভোগ্য পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। এতে করে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন। ক্রয়ের পরিমাণ কমিয়েও স্বস্তি মিলছে না ক্রেতাদের। আর এর পেছনে রয়েছে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে ক্রেতা সাধারণ। সরকারের মনিটরিংও তাদের কিছুই করতে পারছে না। সরকারের নির্ধারণ করে দেয়া পণ্যমূল্য মানছে না তারা। উল্টো কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়েই চলেছে।
বাজারে মুরগির চেয়েও দাম বেশি সবজির। শিম ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা। আলু বিগত কয়েক দশকের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি। যেখানে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১২০ থেকে ৩০ টাকা। চার মাসের বেশি সময় ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া কাঁচামরিচের দাম নতুন করে আরও বেড়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে ২৫০ গ্রাম কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। অর্থাৎ এক কেজি কাঁচামরিচের দাম পড়ছে ৩২০ টাকা। ১১০-১১৫ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিমের দাম বেড়ে ১১৫ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এদিকে পাকা টমেটো, গাজর, বেগুন, বরবটির সঙ্গে নতুন করে ১০০ টাকা কেজির তালিকায় নাম লিখিয়েছে উস্তা। এর মধ্যে পাকা টমেটো গত কয়েক মাসের মতো এখনো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা এবং গাজর ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর উস্তের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকার মধ্যে। বরবটির কেজি গত সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা। বেগুনও গত সপ্তাহের মতো ৮০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। শসার কেজি ৯০ টাকা।
অন্যান্য সবজির দামেও উর্ধগতি। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। লাউয়ের পিস বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা। এক হালি কাঁচকলা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ঝিঙা, কাঁকরোল, ধুন্দুলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। বাজারে নতুন আসা ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে মুলা ও পেঁপে। এর মধ্যে মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। পেঁপের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকা। পেঁয়াজের মজুদ থাকা সত্ত্বেও সুফল পায়নি ক্রেতারা। দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। আমদানি করা বড় আকারের ভারতীয় পেঁয়াজেরও কেজি ৮০ টাকা। গত মাসে ভারত রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়ার পর থেকে সেই যে বেড়েছে, তারপর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও আর কমেনি।
গত ২-৩ সপ্তাহে বেড়েছে চালের দামও। মানভেদে প্রতি কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়ে গেছে। বর্তমানে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, যা আগে ছিল ৫৬ থেকে ৫৮ টাকা। নাজিরশাইল চালের দামও কেজিতে ২ টাকা বেড়ে ৬২ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে, ৪৪ থেকে ৪৬ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া মাঝারি মানের চালের দাম বেড়ে ৪৮ থেকে ৫০ টাকা হয়েছে। আড়তে চিকন চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা। আর মাঝারি মানের চালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, যা আগে ছিল ৪০ থেকে ৪২ টাকা। কারওয়ান বাজারের এক ক্রেতা জানান, ১০০ টাকার সবজি দিয়ে এক বেলাও হয় না। সবজির এতো দাম আমার ৫০ বছরের জীবনে আর দেখিনি। তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই সবজির দাম চড়া। এর মধ্যেই তেল, চিনি, আলু, পেঁয়াজ, ডিমের দাম বেড়ে গেল। আগে কখনো পুরাতন আলুর কেজি ৪০ টাকা কিনে খাইনি।