আজকের দিন তারিখ ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব করোনায় বিপর্যস্ত ইন্দোনেশিয়া

করোনায় বিপর্যস্ত ইন্দোনেশিয়া


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৮, ২০২১ , ১২:৫৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক : করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় হাসপাতালে রোগীর চাপ, অক্সিজেনের সংকটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ইন্দোনেশিয়া। লকডাউন জারি করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। কোনোভাবেই সংক্রমণ কমার কোনো লক্ষণ নেই। সংক্রমণ এবং মৃত্যু পাল্লা দিয়ে বাড়ছেই। বার্তা সংস্থা এএফপির বরাতে জানা যায়, বেশ কিছু শহরে অক্সিজেন সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে অক্সিজেন সরবরাহের ক্ষেত্রে অক্সিজেন উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগে হাসপাতালগুলোকে প্রাধান্য দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সরকার। বিভিন্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের সামর্থ্যের মধ্যে যা আছে তা নিয়েই তারা কাজ চালানোর চেষ্টা করে যাচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ায় বাইরে তাঁবু টানিয়ে চিকিত্সা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও চিকিত্সকরা হিমশিম খাচ্ছেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে লোকজনকে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং ভ্যাকসিন সম্পর্কে সচেতন করতে অপ্রচলিত বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে দেশ জুড়ে লকডাউনের সময়সীমাও আরো বাড়ানো হয়েছে। আগামী ২০ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন জারি থাকবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ায় বর্তমানে প্রতিদিন ২৫ হাজারের বেশি নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হচ্ছে। গত কয়েক মাসে ইন্দোনেশিয়ায় কয়েক লাখ কোভিড রোগী শনাক্ত হয়েছে। ছুটির দিনগুলোতে পর্যটকদের ভিড় বেড়ে যাওয়া এবং ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের কারণেই সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ইন্দোনেশিয়ার করোনা পরিস্থিতি সবচেয়ে খারাপ।
চলতি সপ্তাহে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে রাজধানী জাকার্তায়। এছাড়া জাভা এবং বালি দ্বীপেও সংক্রমণ বেড়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইন্দোনেশিয়ায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ হাজার ১৮৯। অপরদিকে মারা গেছে ৭২৮ জন। কর্তৃপক্ষ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, আগামী দিনগুলোতে হয়তো প্রতিদিন ৫০ হাজারের বেশি সংক্রমণ শনাক্ত হতে পারে। এর আগে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সিতি নাদিয়া তারমিজি জানান, তারা গ্যাস উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে মেডিক্যাল অক্সিজেন উত্পাদনের আহ্বান জানিয়েছে। তিনি লোকজনকে অতিরিক্ত অক্সিজেন মজুত না করার আবেদন জানান। অনাবশ্যক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বাড়িতে বসেই কাজের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দোকান, রেস্টুরেন্ট খুলে রাখার ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। ইন্দোনেশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর সুরাবায়ার হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ অনেক বেড়ে গেছে। ফলে নতুন করে আর কোনো রোগীকে ভর্তি করা যাচ্ছে না। এমন অবস্থায় বাড়িতে গুরুতর অসুস্থ ও মৃতপ্রায় রোগীদের স্বজনরা অক্সিজেন ট্যাংকের জন্য হন্যে হয়ে ঘুরছেন। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সাসেবা দিতে গিয়ে চিকিত্সকদের মধ্যেও সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।