আজকের দিন তারিখ ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় এমআইসিএস পদ্ধতিতে দেশে প্রথম হার্টের ডাবল ভাল্ব প্রতিস্থাপন

এমআইসিএস পদ্ধতিতে দেশে প্রথম হার্টের ডাবল ভাল্ব প্রতিস্থাপন


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ২৯, ২০২১ , ৩:০০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


দিনের শেষে প্রতিবেদক : দেশে প্রথমবারের মতো ২-৩ ইঞ্চি ফুটো করে এমআইসিএস পদ্ধতিতে হার্টের ডাবল ভাল্ব প্রতিস্থাপন করেছেন একদল তরুণ চিকিৎসক। গত মঙ্গলবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে কার্ডিয়াক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. আশ্রাফুল হক সিয়ামের অধীনে হাসিনা বেগম (৩০) নামে এক নারীর দেহে এই সফল অস্ত্রোপচার হয়। এই অস্ত্রোপচারে ১০ জন চিকিৎসকের একটি দল অংশগ্রহণ করেন এবং ৪-৫ ঘণ্টায় তারা সফলতার সঙ্গে অস্ত্রোপচার শেষ করেন।
ডা. সিয়াম বলেন, হার্টের ডাবল ভাল্ব অপারেশন অত্যন্ত জটিল একটি অপারেশন এবং এই এমআইসিএস পদ্ধতিতে মাত্র ২-৩ ইঞ্চি ফুটো করে ভাল্ব প্রতিস্থাপন সারা বিশ্বেই অত্যন্ত বিরল। তিনি বলেন, ‘সারা বিশ্বে হাতে গোনা কয়েকটি হাসপাতালে এই ধরনের আধুনিক পদ্ধতিতে এই অপারেশন হয়ে থাকে। আজ আমরাও সেই মাইলস্টোনে পা দিতে পেরেছি এবং দেশের নাম উজ্জ্বল করতে পেরেছি। এখন আর বিদেশে নয়, বিদেশিরাই আমাদের দেশে হার্টের চিকিৎসা নিতে আসবে ইনশাআল্লাহ।’ ডা. সিয়াম আরও বলেন, ‘আমরা ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট এমআইসিএস পদ্ধতিতে সরকারিভাবে প্রথম হার্টের ছিদ্র অপারেশনের মাধ্যমে পথচলা শুরু করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধানে ও সহযোগিতায় আজ আমরা দেশে প্রথমবারের মতো এমআইসিএস পদ্ধতিতে মাত্র ২-৩ ইঞ্চি ফুটো করে ডাবল ভাল্বের মতো জটিল অপারেশন করতে পেরেছি। তাই তার কাছে কৃতজ্ঞতা। একইসঙ্গে দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই যেন এই দেশে ভবিষ্যতে হার্টের ট্রান্সপ্লান্ট শুরু করতে পারি।’ এ সময় তিনি এই অপারেশনে সার্বিক সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানান। ১০ জন চিকিৎসকের একটি দল এই অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেন। কার্ডিয়াক সার্জনস সোসাইটি অব বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রথম অপারেশনের জন্য ডা. সিয়ামকে অভিনন্দন জানাই। হার্টের চিকিৎসায় এটা একটা যুগান্তকারী মাইলফলক।’
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের পরিচালক মীর জামালউদ্দিন বলেন, ‘এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয় যে আমরা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে এই ধরনের কসমেটিক সার্জারি শুরু করতে পেরেছি। এই পদ্ধতিতে অপারেশনের সুবিধা হলো রোগীর রক্তক্ষরণ কম হয়, ব্যথা কম অনুভব হয় এবং রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি যেতে পারে।’
এই অপারেশনে অন্য সদস্যদের মধ্যে ছিলেন- অ্যানেস্থেটিকস্ হিসেবে অধ্যাপক ডা. শাহনাজ, সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাম, সহকারী অধ্যাপক ডা. রোমেনা রহমান, ডা. আসিফ আহসান চৌধুরী, ডা. ইমরান, ডা. মন্জুর, ডা. ওয়াহিদা, ডা. সায়েম, ডা. রুবাইয়াত ও ডা. সৌরভ।