আজকের দিন তারিখ ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
রাজনীতি এই যুদ্ধে জয়ী হতে হবে : বিএনপি

এই যুদ্ধে জয়ী হতে হবে : বিএনপি


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ৫, ২০২৩ , ৫:১৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি


‘দিনের শেষে ডেস্ক : এ লড়াই বাঁচা-মরার লড়াই। এ লড়াইয়ে আমাদের জিততে হবে। হাজারো নেতাকর্মীরা প্রাণ দিয়েছেন। লাখো নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। আমাদের নেত্রী জেলে আছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য বাইরে না পাঠিয়ে তিলে তিলে মেরে ফেলছে এই অবৈধ সরকার। এ সরকারের বিরুদ্ধে সবাইকে একজোট হয়ে আন্দোলন করতে হবে। তাদের ক্ষমতা থেকে নামাতে হবে’। বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) বেলা ৩টায় ফেনী মহিপাল পল্লী বিদ্যুতের সামনে বিশ্বরোডে বিএনপির কুমিল্লা-চট্টগ্রাম রোড মার্চের তৃতীয় পথসভায় এসব কথা বলেন বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এখনও সময় আছে দ্রুত পদত্যাগ করুন। কোনও প্রভুরাই এবার আপনাদের রক্ষা করতে পারবে না। আপনাদের অধীনে আর কোনও নির্বাচন এদেশে হবে না, হতে দেওয়া হবে না। এবার ভোট হবে তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। সেখানে আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব।

নির্বাচনের না যাওয়ার বিষয়ে অটল থাকতে হবে। আমেরিকা থেকে সরকার খালি হাতে ফিরেছে। বহু চেষ্টা করেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারেনি তারা। আবারও বিনা ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে’।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, অনেক করেছেন আর নয়। এবার ক্ষমতা ছাড়ুন। আর কত চুরি করবেন? দেশের জনগণের সব টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাচার করে দিয়েছেন। এবার হিসাব দেওয়ার পালা। জনগণ জেগেছে, পালাবার পথও পাবেন না।

সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সরকার পরিবর্তনের দাবিতে বিএনপির কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত এই রোড মার্চে মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডে আরও দুটি পথসভা করার কথা রয়েছে। এক দফা দাবি আদায়ে এটি বিএনপির শেষ রোড মার্চ।

কুমিল্লার কালাকচুয়ায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে সকাল পৌনে ১১টায় শুরু হয় দিনের কর্মসূচি। বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে জড়ো হন নির্দিষ্ট সময়ের আগে। সরকারের পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান দেন তারা। ওই এলাকার মনোনয়নপ্রত্যাশী নেতাদের ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ছাড়াও কোথাও কোথাও তোরণও চোখে পড়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর মিথ্যা মামলার সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। রাজপথ দখল করে এসবের ফয়সালা করতে হবে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসা নেওয়ার সুযোগ দিচ্ছে না। তারা আসলে আমাদের নেত্রীকে মেরে ফেলতে চায়। তারা ভোট চুরি করে আবারও ক্ষমতায় আসতে চায়। সেটা আমরা হতে দেব না।

ফেনীর পথসভা শেষে দলীয় ও জাতীয় পতাকা হাতে কয়েক শ’ গাড়ি যোগে ছুটে চলে রোডমার্চ। এতে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কে সকাল থেকে প্রচণ্ড যানজটে আটকা পড়ে শত শত বাস, ট্রাক, লরি ও ব্যক্তিগত গাড়ি। বিএনপি নেতাকর্মীরা পিকআপ, মিনিবাস, মাইক্রো বাস, মিনি ট্রাক, মোটরসাইকেলে চড়ে রোড মার্চে অংশ নেয়। পথে পথে স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিবাদনের জবাব হাত নেড়ে দেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।

 

বিএনপির আজকের রোড মার্চ আরও দুটি (মিরসরাই এবং সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীতে) পথ সভা শেষে চট্টগ্রামে গিয়ে শেষ হবে। চট্টগ্রামে সমাবেশের ব্যাপারে শঙ্কা থাকলেও গতকাল বিকেলে পুলিশ অনুমতি দেয়। তবে বিএনপির চাহিদা অনুযায়ী কাজীর দেউড়িতে পায়নি। একটু দূরে আউটার রোডে পুলিশ অনুমতি দিয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাৎ হোসেন।

বিএনপির রোড মার্চে উপস্থিত রয়েছেন- দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।