আজকের দিন তারিখ ১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব ইসরায়েলি ট্যাংকারে হামলায় ইরানকে দায়ী যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের

ইসরায়েলি ট্যাংকারে হামলায় ইরানকে দায়ী যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ২, ২০২১ , ১২:০৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক :  এমভি মার্সার স্ট্রিট নামের ট্যাংকারটিতে হামলায় দুইজন ক্রু নিহত হয়। আরব সাগরে ইসরাইলি তেল ট্যাংকারে প্রাণঘাতী হামলায় পেছনে ইরান জড়িত রয়েছে বলে মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। ইরান আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ করেছে বলে উল্লেখ করে এর পাল্টা জবাব দেওয়া হবে বলে অঙ্গীকার করেছে দেশ দুটি। এমভি মার্সার স্ট্রিট নামের ট্যাংকারটি বৃহস্পতিবার ওমানের উপকুলে আক্রমণের শিকার হয়। এই হামলায় জাহাজের দুইজন ক্রু নিহত হয় যাদের একজন ব্রিটিশ ও অপরজন রোমানিয়ান নাগরিক। এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছেন, এই হামলায় ইরান এক বা একের অধিক ড্রোন ব্যাবহার করেছে।

এই হামলাকে পরিষ্কারভাবে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ইরানকে এসব হামলা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। জাহাজ চলাচলে সুযোগ দিতে হবে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন হুমকি দিয়ে বলেছেন এই হামলার পিছনে যে ইরান দায়ী এ ব্যাপারে তারা আত্মবিশ্বাসী এবং এর জুতসই পাল্টা জবাব আসছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত গতকালই বলেছেন এই হামলার জন্য যে তাদের চিরশত্রু ইরান দায়ী তেমন প্রমাণ রয়েছে। এরপরই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের তরফ থেকে এমন বিবৃতি এলো। বেনেত হুমকি দিয়ে বলেন, আমরা জানি কিভাবে আমাদের মত করে ইরানকে বার্তা দিতে হয়। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ইরান যে ভুল করছে তা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ইরানকে পরিষ্কার বুঝিয়ে দেয়া উচিৎ।

এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে হামলার অভিযোগ করেছে ইরান। ওমান উপসাগরে এর আগেও হামলার শিকার হয়েছে তেলের ট্যাংকার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, ইসরায়েলের ইহুদিবাদী শাসনব্যবস্থা এক ধরনের নিরাপত্তাহীনতা, সন্ত্রাস ও সহিংসতা তৈরি করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের অভিযোগের কোন জবাব এখনো দেশটি দেয়নি। ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে এক ধরনের অঘোষিত ‘ছায়া যুদ্ধ’ চলছে যা এই ট্যাংকার হামলাকে ঘিরে আরও তীব্র হল। মার্চ মাস থেকে ইসরায়েল ও ইরান দুই পক্ষের জাহাজে বেশ কয়েকটি হামলা হয়েছে। এই হামলাগুলোকে প্রতিশোধমূলক বলে মনে করা হচ্ছে।

ইরান অপরদিকে তাদের পরমাণু কেন্দ্র এবং সেখানে কর্মরত বিজ্ঞানীদের ইসরাইল টার্গেট করছে বলে অভিযোগ করছে। ভিয়েনাতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে যে আলোচনা চলছে সেই পটভূমিতে নতুন করে আবার উত্তেজনা দেখা দিচ্ছে। এই আলোচনার মাধ্যমে ২০১৫ সালের একটি চুক্তিকে পুনর্বহাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাতে পরমাণু কর্মসূচী কমিয়ে আনার বিনিময়ে ইরানের উপর থেকে অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। ইরান পারমানবিক বোমা তৈরি করছে, পশ্চিমা বিশ্বের এমন অভিযোগের জবাবে ইরান সবসময় বলে আসছে তার মূলত বিদ্যুৎ উৎপাদনে এই কর্মসূচী পরিচালনা করছে।