আজকের দিন তারিখ ১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার, ৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
রাজনীতি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ : খন্দকার মোশাররফ

আওয়ামী লীগ সরকারের সময় শেষ : খন্দকার মোশাররফ


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ডিসেম্বর ২৬, ২০২২ , ১:৪৭ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি


দিনের শেষে প্রতিবেদক : বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, বিএনপির আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয়ে রাজপথে নেমেছে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় টিকতে পারবে না। তাদের সময় শেষ। আমরা সকল দেশপ্রেমিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটাবো ইনশাআল্লাহ। সোমবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। তিনি বলেন, আমাদের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস মামলার আসামি না হয়েও তাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, আমাদের গণসমাবেশ ঘিরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্বরোচিত ক্র্যাকডাউন চালিয়েছে। যা স্বাধীন বাংলাদেশে কেউ চিন্তা করতে পারে না। অফিসে লুটপাট ও তছনছ করেছে। চার শতাধিক নেতাকর্মীকে একসাথে গ্রেপ্তার করেছে। তারা ঢাকা সহ সারাদেশে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। তারপরও আমাদের গণসমাবেশ ঠেকাতে পারেনি। মোশাররফ হোসেন বলেন, জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে গণসমাবেশ সফল করেছে। সরকার তাদের পেটোয়া পুলিশ বাহিনী দিয়ে গণসমাবেশ বানচাল করতে চেয়েছিল। রাস্তায় অবরোধ ও পরিবহন ধর্মঘট করেছে। ৯ জনের বেশি কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। তবুও কিন্তু আমাদের বিভাগীয় ও ঢাকার গণসমাবেশ পণ্ড করতে পারেনি। বরং জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিলো। তিনি বলেন, সরকার গায়ের জোরে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। দ্রব্যমূল্য লাগামহীন। মধ্যবিত্তরা দরিদ্র হয়ে গেছে। সেজন্য জনগণ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। বিচার ব্যবস্থা দলীয়করণের মাধ্যমে ধ্বংস করেছে। তারা বিচার বিভাগ মেরামত করতে পারবে না। অবৈধভাবে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ছয় শতাধিক নেতাকর্মী গুম করেছে। চৌধুরী আলমকে গুম করেছে। সবার নামে মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তিনি বলেন, আজকে জনগণ আওয়াজ তুলেছে এই সরকারকে বিদায় করতে হবে। সেজন্যই আমরা জনগণের পক্ষে সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো সহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করেছি। আজকে মানুষ মাঠে নেমেছে। ২৪শে ডিসেম্বর পুলিশ সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় বাধা দিয়েছে। পঞ্চগড়ে আবদুর রশিদ নামে একজনকে গুলি করে হত্যা করেছে। তবুও কিন্তু গণমিছিল ঠেকাতে পারেনি। ইনশাআল্লাহ ৩০ ডিসেম্বর ঢাকায় গণমিছিল সফল হবে। ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক ডা. মোঃ ফখরুজ্জামান ফখরুলের পরিচালনায় আরো বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. এমএ সেলিম, ডা. সিরাজুল ইসলাম, ডা. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ডাম্বেল, ডা. জহিরুল ইসলাম শাকিল, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ডা. মেহেদী হাসান, ডা. সায়ীদ মেহবুব উল কাদির, ডা. শেখ ফরহাদ, ডা. আনোয়ার হোসেন মুকুল, এ্যামট্যাবের বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, নার্সেস অ্যাসোসিয়েশনের বিলকিস জাহান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের গোলাম মাওলা শাহিন প্রমুখ।