Notice: Trying to access array offset on value of type null in /data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/themes/dinersheshey/panel/sit_style.php on line 124
আজকের দিন তারিখ ১৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার, ১লা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় ম্যানহোলে শিশু নীরবের মৃত্যু : টাকায় ‘চুপ’ বাবাও!

ম্যানহোলে শিশু নীরবের মৃত্যু : টাকায় ‘চুপ’ বাবাও!


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৩, ২০১৬ , ১:৩৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


201কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: রাজধানীর শ্যামপুরে স্যুয়ারেজ লাইনের গর্তে পড়ে সাড়ে পাঁচ বছরের শিশু ইসমাইল হোসেন নীরবের মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে গেছে।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে শিশু নীরবের বাবার হাতে দেড় লাখ টাকা গুঁজে দেয় ঘটনার জন্য দায়ী শ্যামপুর শিল্প মালিক সমিতি। আর এ কারণেই কোনো প্রকার বিচার চায়নি নীরবের পরিবার। পুলিশ উচ্চ আদালতে জবাবদিহিতা এড়াতে নিয়মরক্ষায় একটি মামলা করলেও কোনো তদন্তই করেনি। বাংলামেইলের অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে এসব তথ্য।

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর বিকেলে খেলতে গিয়ে শ্যামপুরের পালপাড়া বরইতলা এলাকায় জাগরণী ক্লাবের সামনের খোলা স্যুয়ারেজের ড্রেনে পড়ে যায় শিশু নীরব। সাড়ে চার ঘণ্টা পর প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বুড়িগঙ্গার তীরে স্লুইস গেট থেকে নীরবের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

২০১৪ সালে শিশু জিহাদের একই রকমের মৃত্যুর কারণে ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় হয়। গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর চিলড্রেন চ্যারিটি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম নিহতের পরিবারকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ওই আবেদনে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) আইনগত কী ব্যবস্থা নিয়েছেন, তা জানাতে নির্দেশনা চাওয়া হয়।

১৩ ডিসেম্বরই পুলিশ দ্রুত একটি মামলা করে। কদমতলী থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সাইফুল ইসলাম বাদি হয়ে ওই থানায় দণ্ডবিধির ৩০-এর ক ধারায় এ মামলাটি দায়ের করেন। ওই মামলায় স্যুয়ারেজ লাইনের তত্ত্বাবধায়ক শাহরিয়ার আহমেদ শুক্কুর মিয়াকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।

জানতে চাইলে কদমতলী থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘কিছু টাকা পেয়ে নিহত শিশুর বাবা মামলা করবে না বলে জানিয়ে দেয়।

পরে আমরাই মামলা করেছি। আসামি শুক্কুর মিয়াকে গ্রেপ্তার করলেও পরে সে জামিনে ছাড়া পায়। আমরা চার্জশিট দিয়ে দেব।’

ওসি ওয়াজেদ আলীর বক্তব্যের সত্যতা স্বীকার করেন নীরবের বাবা রেজাউল ইসলামও। তিনি বলেন, ‘মামলা করে কী লাভ! ঝামেলা করতে চাই না। তারা আমাকে দেড় লাখ টাকা দিছে। আমার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য টাকা দরকার ছিল। সাধল তাই নিলাম।’

শুক্কুর মিয়া টাকা দিয়েছে, না কি অন্য কেউ, জানতে চাইলে রেজাউল বলেন, ‘না, তাদেরই অন্যলোক দিয়েছে। কয়েকজনই আমার সঙ্গে আগে যোগাযোগ করছে। আমি ক্ষতিপূরণ আর মামলা চাই না বলার পর আর কেউ যোগাযোগ করে না।’

পুলিশ ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে শিল্প কারখানাগুলোর বর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য রেলের জমি দখল করে স্যুয়ারেজ লাইন তৈরি করে শ্যামপুর শিল্প মালিক সমিতি। কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়ে অরক্ষিতভাবে লাইনটি তৈরি করা হয়।

ওই লাইনের পালপাড়া বরইতলা এলাকায় জাগরণী ক্লাবের সামনে গর্তে নীরব পড়ে যায়। বর্জ্য অপসারণের নামে শিল্প কারখানাগুলোর কাছ থেকে মাসে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা তোলে সমিতি। এই টাকার সামান্য অংশও খরচ করা হয় না বর্জ্য ব্যবস্থাপনায়। পুরো টাকাই চলে যায় সমিতির কতিপয় নেতা এবং স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতার পকেটে।

শিল্প মালিক সমিতি কৌশলে এই সংগঠনের সভাপতি করে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে। বর্তমান সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য (ঢাকা-৪ আসন) সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।

এর আগে অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম এই সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। আসামি শুক্কুর মিয়ার পক্ষে জামিন আবেদনের শুনানিতে আদালতে আইনজীবী ছিলেন সানজিদা খানমই।


Notice: Trying to access array offset on value of type null in /data/wwwroot/dinersheshey.com/wp-content/themes/dinersheshey/panel/sit_style.php on line 130