দক্ষিণেও বিট পুলিশিং চালু করল সিএমপি
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২, ২০১৬ , ২:২৮ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়
চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ জোনের চার থানা এলাকাকে ৪৩টি বিটে ভাগ করে বিট পুলিশিং চালু করেছে সিএমপি। এর আগে নগরীর বাকি তিন জোনে বিট পুলিশিং চালু হয়।
বৃহস্পতিবার (০২ জুন) বিট পুলিশিং চালু হওয়া চার থানা হচ্ছে কোতয়ালি, বাকলিয়া, চকবাজার ও সদরঘাট।
নগর পুলিশের উপ কমিশনার (দক্ষিণ) কামরুল আমীন কোতয়ালি ও বাকলিয়া থানায় গিয়ে বিট পুলিশিং উদ্বোধন করেন। এসময় অতিরিক্ত উপ কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) শাহ মো.আব্দুর রউফও ছিলেন।
এডিসি রউফ জানান, সিএমপির দক্ষিণ জোনকে ৪৩টি বিটে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতয়ালি থানার বিভিন্ন এলাকাকে ১৫টি, বাকলিয়া ১১টি এবং চকবাজার ও সদরঘাট থানা এলাকাকে ৭টি করে বিটে ভাগ করা হয়েছে।
‘প্রত্যেক বিটে একজন উপ-পরিদর্শকের নেতৃত্বে পাঁচজন সদস্য থাকবেন। তারাই তাদের বিটের জনসাধারণকে বিষয়টি জানাবেন। এলাকাবাসীর সঙ্গে তারাই যোগাযোগ রাখবেন। এডিসি, এসি এবং ওসি তাদের কর্মকাণ্ড মনিটর করবেন। ’ বলেন রউফ।
সিএমপি কমিশনার মো.ইকবাল বাহার এপ্রিলে যোগদানের পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনেই ডিএমপির আদলে বিট পুলিশিং চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। ১৫ মে সিএমপি কমিশনার এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
এলাকার জনসংখ্যা, থানার জনবলের সংখ্যা, অপরাধের মাত্রা এবং টহলের জন্য সুবিধাজনক পরিধির ওপর ভিত্তি করে নগরীর ১৬ থানাকে ১৪৫টি বিটে ভাগ করা হয়েছে।
সূত্রমতে, প্রতিটি বিটে একজন এসআইকে বিট অফিসার হিসেবে নিয়োজিত করা হয়েছে। তার সঙ্গে একজন এএসআই ও দুই থেকে তিনজন কনস্টেবল রয়েছেন। তারা এলাকার একজন হিসেবে জনগণের কাতারে অবস্থান করে সেবা দেবেন। যে কোনো প্রয়োজনে জনগণ প্রথমেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহায়তা নিতে পারবে। প্রত্যেক বিট অফিসারকে একটি নির্দিষ্ট মুঠোফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে। বিট পুলিশের সদস্যরা প্রথমেই একটি নাগরিক পরিচিতি ফরম নিয়ে যার যার এলাকায় ঘরে ঘরে যাবেন। আবার সপ্তাহ খানেক পর পূরণ করা ফরমটি নিয়ে আসবেন। ওই ফরমে নাগরিকদের ছবিসহ যাবতীয় তথ্য থাকবে।
পরে তথ্যভান্ডার তৈরি করে ব্যক্তি শনাক্তকরণ, অপরাধ প্রতিরোধ এবং প্রতিকারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া রোহিঙ্গা ও বিদেশি নাগরিকদেরও তথ্যভান্ডার তৈরি করবে পুলিশ।