ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে মনোনয়ন চান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক
পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ৬, ২০২৪ , ৩:৫৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: রাজনীতি
দিনের শেষে ডেস্ক : ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই গত ১৬ মার্চ ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মারা যান। আনুষ্ঠানিক ভাবে আসনটিতে তফসিল ঘোষণা না হলেও ইদুল ফিতরের পর পরই তফসিল হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন অফিসের কর্মকর্তারা। এর পরই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আসনটিতে সংসদ নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান। ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসন থেকে থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন বর্তমান সংসদ সদস্য আ.লীগ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাইসহ আওয়ামী লীগের ৬ প্রার্থী। এর মধ্যে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক মনোনয় না পেয়ে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাইয়ের নির্বাচনে কাজ করে যান। মোস্তাক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে ভর্তি হয়েই মাস্টার দ্যা সূর্যসেন হলে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন। ২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে প্রধান উপদেষ্টা করে তার নেতৃত্বে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হওয়ার পর ফুলে ফেপে উঠে রাজ পথ। সেই আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালিণ সূর্যশেন হল ছাত্রলীগের প্রভাবশালী নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক। আন্দোলনের স্ফুলিঙ্গ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়লে ২০০৭ সালের ১/১১ জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। এর পরপরই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার পর ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫ জনের মিছিল হয়। সেই বিক্ষোভ মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন তৎকালিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক। এর আগে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদের হাইকোর্টের সামনে মানববন্ধ করতে গেলে গ্রেফতার হন তৎকালিণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক। এ ছাড়া বিরোধী দলে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম করতে গিয়ে ছাত্রদল- ছাত্র শিবিরের হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। শৈলকুপার ফুলহরি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা নিয়ামত হোসেনের ছেলে মোস্তাক ভাটই মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার সময় থেকে স্কুল ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার মধ্যমে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। এর ধারাবিহিকতায় ঝিনাইদাহ কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃত্ব দেওয়া মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এর পর কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সংস্কৃতি বিষয়ক উপ কমিটির দায়িত্ব পালন করে আসছেন টানা তিনবার। নিজ এলাকা শৈলকুপার মানুষের টানে ঝিনাইদহে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়ন মুলক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হয়ে যান তিনি। এর পর ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সদস্যও হন। দেশে করোনাভাইরাসের মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে শৈলকুপায় প্রত্যেকটি ইউনিয়নে জনসচেতনতা সৃষ্টি, খাদ্য সামগ্রি বিতরণ, করোনাভাইরাস প্রতিরোধক বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করেন। সামাজিক সংগঠন আস্থার মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক অবক্ষয় রোধসহ নানা কর্মকান্ডে লিপ্ত হন তিনি। এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে থাকার সময় থেকে এখন পর্যন্ত শৈলকুপা এলাকার আওয়ামী লীগসহ দলের বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাদের বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণ ও যোগাযোগ রক্ষা করে আসছেন। এবার ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসন শুন্য হওয়ার পর নিজ এলাকান মানুষের জন্য বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে মনোনয়ন চান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক। এদিকে স্থানীয় একাধিক নেতাকর্মী সহ-সাধারণ ভোটাররা জানান মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক করোনা কালীন সময়ে অসহায় মানুষদের মধ্যে খাবার বিতরণ সহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিয়ে গেছেন। বিভিন্ন স্কুল মাদ্রাসা ও এতিমখানা, দুস্থ অসহায় নিরীহ বঞ্চিত মানুষের পাশে সাহায্য ও সেবা বিলিয়ে দিয়েছেন। সদা হাস্যজ্জল ও অমায়িক মনের মানুষ হিসেবে গরিব, ধনী-দরিদ্র তার কাছে কোনো প্রকার ভেদাভেদ নেই। তাই আমরা মোস্তাক ভাইকে চাই । মনোনয়ন প্রত্যাশী আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশা করি। তিনি নির্বাচন করার সুযোগ দিলে নৌকাকে বিজয়ী করে শৈলকুপার জনমানুষের জন্য কাজ করবো।আমার রাজনৈতিক জীবনের কর্ম তৎপরতা ও আওয়ামী লীগের প্রতি আমার পরিবারের অকৃতিম ভালোবাসা ও ত্যাগের কথা বিবেচনা করে স্মার্ট শৈলকুপা গড়তে এবং জনসাধারণে জন্য আমার সর্বোচ্চটা দিয়ে কাজ করে যাবো। তিনি বলেন, এই এলাকায় কাজ করার কারণে মানুষের সকল সমস্যার কথা জানি। সুতরাং জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দিলে আমি নির্বাচিত হয়ে এলাকার সকল সমস্যা খুব সহজেই সমাধান করতে পারব। প্রধানমন্ত্রী যদি আমাকে মনোনয়ন দেন আমি বিশ্বাস করি আমার দলের নেতা কর্মীরা আমার জন্য কাজ করবেন। বঙ্গবন্ধুর লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে আজ দেশ। বঙ্গবন্ধু কন্যার সাহসী ও স্মার্ট নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাযাত্রায় এখন বাংলাদেশ । বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সমৃদ্ধ বৈষম্যহীন ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে। বর্তমানে শেখ হাসিনা বিশ্বনেত্রী খেতাবে বিশ্বের আইডল ও আইকন হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।