আজকের দিন তারিখ ১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত কমপক্ষে ১১৬

চীনে শক্তিশালী ভূমিকম্প, নিহত কমপক্ষে ১১৬


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩ , ১১:২৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক : শক্তিশালী ভূমিকম্পে চীনে কমপক্ষে ১১৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২২০ জন। সোমবার রাতে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প। চীন কর্তৃপক্ষ বলেছে, গানসুতেও এই ভূমিকম্প আঘাত হানে। তা অনুভূত হয় প্রতিবেশী কিনঘাই প্রদেশেও। ঘটনাস্থলে তাপমাত্রা অনেক কম। উঁচু এই এলাকায় ঠাণ্ডায় সব জমে যাওয়ার অবস্থা। এমন অবস্থায় ভূমিকম্পের পরে সেখানে উদ্ধার অভিযানে ব্যাঘাত ঘটছে। কয়েক ঘন্টা পরে মঙ্গলবার প্রতিবেশী শিনজিয়াংয়েও ভূমিকম্প আঘাত হানে। সেখানে এর মাত্রা ছিল ৫.৫। গানসুতে পূর্ণাঙ্গ উদ্ধার অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। গানসু হলো চীনের সবচেয়ে দরিদ্র অঞ্চলগুলোর অন্যতম। সেখানে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জিশিশান কাউন্টি। তিব্বত, লোয়েস মালভূমি এবং মঙ্গোলিয়ার মধ্যে আবদ্ধ গানসু অঞ্চল। সেখানে লিনসিয়া হুই অটোনোমাস প্রিফ্যাকচারে সোমবার রাতে ভূমিকম্প আঘাত হানে। এই অঞ্চলটি চীনের হুই মুসলিমদের প্রশাসনিক এলাকা। চীনা কর্তৃপক্ষ সেখানে ৬.২ মাত্রার ভূমিকম্প পরিমাপ করেছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভের রেকর্ড অনুযায়ী এর মাত্রা ছিল ৫.৯। গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, ভূমিকম্পের পর প্রায় ১০টি কম্পন অনুভূত হয়েছে। টিভি ফুটেজে দেখা গেছে হাসপাতালগুলোতে রোগী নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। উদ্ধারকর্মীরা ধসে পড়া ভবনগুলোর মধ্যে জীবিতদের সন্ধান করছেন। স্থানীয় ইমার্জেন্সি বিভাগকে সহায়তা করতে উদ্ধারকর্মী পাঠিয়েছে সরকার।
প্রেসিডেন্ট শি এক বিবৃতিতে বলেছেন, অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান, সময়মতো আহতদের চিকিৎসা এবং হতাহতের সংখ্যা সর্বনীম্ন রাখতে সব রকম প্রচেষ্টা নেয়া হচ্ছে। মঙ্গলবার গানসুর জিশিশান কাউন্টি কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করেছে। তাতে বলা হয়েছে, গানসুতে কমপক্ষে ১০৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৯৬ জন। অন্যদিকে কিনঘাইয়ে নিহত হয়েছেন ১১ জন। আহত হয়েছেন ১২৪ জন। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ লোকজনকে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভিড় না করার আহ্বান জানিয়েছে। বলেছে, উদ্ধারকর্মীদের জন্য সড়কগুলো উন্মুক্ত রাখতে। ভূমিকম্পের ফলে আক্রান্ত এলাকায় বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে।

বেশ কযেকটি টেকটোনিক প্লেটের ওপর বসে আছে চীন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইউরেশিয়ান, ইন্ডিয়ান এবং প্যাসিফিক প্লেট। এসব প্লেটের কারণে চীন ভূমিকম্প প্রবণ। সেপ্টেম্বরে সেখানে ৬.৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয় সিচুয়ান প্রদেশে। তাতে নিহত হন কমপক্ষে ৬০ জন। ১৯২০ সালে গানসুতে শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। তাতে নিহত হন কমপক্ষে দুই লাখ মানুষ। এটাকে বিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের অন্যতম বলে রেকর্ড করা হয়েছে।