গ্রামীণফোন নেটওয়ার্কে গ্রাহক ভোগান্তি
পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২, ২০১৬ , ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
কাগজ অনলাইন প্রতিবেদক: বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনর্নিবন্ধন সমাপ্তির ২৪ ঘণ্টা না যেতেই গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকার অসংখ্য গ্রাহক তাদের ভোগান্তির কথা জানিয়েছেন। কোথাও কোথাও কাস্টমার কেয়ারে ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।
বুধবার দুপুরে এমন ঘটনা ঘটেছে একাধিক স্পটে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিকেলের পর থেকে রাজধানীর ধানমণ্ডি, মোহাম্মদপুর, মতিঝিল, পল্টন এবং নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, চাঁদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও মুন্সীগঞ্জের একাংশে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে সমস্যার কথা জানানো হয়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষ তাদের ভোগান্তি ও ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন। নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া গ্রাহকের প্রশ্ন, বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের পরেও সিম বন্ধ হয়ে গেল কেন? নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে সাইফুল ইসলাম জানান, সকাল থেকেই তিনি নেটওয়ার্ক সমস্যায় পড়েন।
তবে বিকেলে নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, চাঁদপুর, মাদারীপুর ও শরীয়তপুর এলাকায় সাময়িক নেটওয়ার্ক সমস্যার বিষয়ে গ্রামীণফোনের কর্মকর্তারা এই সমস্যার সঙ্গে বায়োমেট্রিক রি-রেজিস্ট্রেশনের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানান।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (৩১ মে) ছিল বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের শেষ সময়। বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, দুই কোটি ৭০ লাখ সিম এখনো এই পদ্ধতিতে নিবন্ধিত হয়নি।
অনিবন্ধিত এসব সিম মঙ্গলবার রাত থেকেই বন্ধ হতে শুরু করেছে। তবে এসব সিম বন্ধ হলেও ৪৫০ দিনের মধ্যে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন করে পুনরায় চালু করা যাবে বলে জানিয়েছে অপারেটরগুলো।
সূত্র জানায়, ৪৫০ দিন পর বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংযোগ বিক্রির ঘোষণা দিতে পারবে অপারেটররা। এরপর ভেরিফিকেশন করে সংযোগ পেতে ৯০ দিন সময় পাবেন গ্রাহক। তবে সিম পুনর্নিবন্ধন না হলে নির্ধারিত সময়ের পর অন্য গ্রাহকের কাছে সিমগুলো বিক্রি করা যাবে।
অনিবন্ধিত সিমগুলো বর্তমান মালিকরা রেজিস্ট্রেশন করবেন কি-না তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্টরা। ফলে এখনো অনিবন্ধিত দুই কোটি ৭০ লাখ সিমের কী হবে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারছে না অপারেটরগুলো।