আজকের দিন তারিখ ৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ডিসেম্বর ৫, ২০২২ , ২:৫৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


কক্সবাজার প্রতিনিধি : প্রায় সাড়ে ৫ বছর পর কক্সবাজার আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে প্রধানমন্ত্রী ভাষণ দেবেন জনসভায়। আর এই ঘোষণার পর থেকেই পাল্টে গেছে জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির দৃশ্যপট। একই সঙ্গে দলটির সহযোগী অঙ্গ সংগঠনগুলোও চাঙা হয়ে উঠতে শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশ সফল করতে নেতাকর্মীর দিন রাত খেটে চলেছেন। বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জানা গেছে, আগামী ৭ ডিসেম্বর সকালে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার- টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের ইনানী সৈকতে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক নৌশক্তি প্রদর্শন মহড়া উদ্বোধন করবেন। বাংলাদেশ নৌবাহিনী আয়োজিত এ মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন ও ভারতসহ ৩০টির বেশি দেশ অংশগ্রহণ করার কথা রয়েছে। সেখান থেকে দুপুর ২টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শহরের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যাবেন। সেখানে তিনি জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সাজ সাজ রব বিরাজ করছে জনসভাস্থল ও এর আশপাশের এলাকায়। সভা স্থল ছাড়াও আশপাশের এলাকাকে সাজানো হচ্ছে অপরূপ সাজে। কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমনে ব্যাপক খুশি হয়েছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

তারা এখন থেকে প্রস্তুতি নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশ নিতে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে আসতে পারে গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাও। কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করার জন্য কক্সবাজারের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। প্রধানমন্ত্রীর এই জনসভা আগামী নির্বাচনের জন্য বড় ধরনের সাফল্য বয়ে আনবে। কক্সবাজার ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করতে ছাত্রলীগের এক লাখ কর্মী থাকবে। ইতোমধ্যে আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ করেছি। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, এখন শুধু লক্ষ্য একটাই জনসভা সফল করা। জেলাবাসী প্রধানমন্ত্রীকে দেখার অপেক্ষায় আছেন। ৭ ডিসেম্বরের জনসভায় কমপক্ষে তিন লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে আমরা আশা করছি। কক্সবাজার আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘২০১৭ সালের ২২ সেপ্টেম্বর উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেখতে এসে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দলীয় জনসভায় ভাষণ দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা।

তখন কক্সবাজারের উন্নয়নে যেসব প্রতিশ্রুতি (উন্নয়ন প্রকল্প) ঘোষণা দিয়েছিলেন, এখন তার সবকটি দৃশ্যমান। তার মধ্যে চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণ প্রকল্পের কাজ এখন শেষের পথে। তিনি আরও বলেন, ‘মহেশখালীর মাতারবাড়ি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এরই মধ্যে ৮৮ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে ২০২৪ সালের শুরুতে ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। আগামী বছরের অক্টোবর নাগাদ শেষ হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ ১০ হাজার ৭০০ ফুট দৈর্ঘ্যের কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ের নির্মাণকাজ। এছাড়া টেকনাফ সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, সোনাদিয়ায় পরিবেশবান্ধব পর্যটনকেন্দ্র, এলএনজি টার্মিনাল, খুরুশকুলে পাঁচ হাজার জলবায়ু উদ্বাস্তু জনগোষ্ঠীর জন্য ফ্ল্যাটবাড়ির বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ সাড়ে ৩ লাখ কোটি টাকার ৭২টি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ চলছে। অধিকাংশ প্রকল্পের কাজ সমাপ্তির পথে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে কক্সবাজারের চেহারা পাল্টে যাবে। তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের এই মহাউন্নয়ন এবারের নির্বাচনে প্রভাব ফেলবে।