আজকের দিন তারিখ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস স্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই ফর্মে ফিরেছেন লিটন

স্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই ফর্মে ফিরেছেন লিটন


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ১৭, ২০২১ , ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে ডেস্ক : দীর্ঘদিন পর ব্যাটে রানের দেখা পেয়েছেন বাংলাদেশের ওপেনার লিটন দাস। প্রায় ১৬ মাস পর পেলেন ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি। এর পুরো কৃতিত্বটা সতীর্থদের পাশাপাশি পরিবারকে দিয়েছেন লিটন। জানিয়েছেন, স্ত্রীর অনুপ্রেরণাতেই ফর্মে ফিরেছেন তিনি। গত বছরের মার্চে সিলেটে সবশেষ এই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সেঞ্চুরির দেখা পান লিটন দাস। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ ইনিংসে মাত্র ১০১ রান করতে সক্ষম হন তিনি। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের ১ম ম্যাচে আবারো তার ব্যাটে রান এসেছে। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ৪র্থ সেঞ্চুরি। ম্যাচশেষে লিটন জানালেন, করোনার কারণে কিছুটা ব্যাকফুটে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, লাস্ট কয়েকটা ম্যাচে ভালো করতে পারিনি। এটা অবশ্যই হতাশাজনক। কোভিডের আগে ভালো ফর্মে ছিলাম। হুট করে কোভিড হানা দেয়ায় কিছুটা নড়বড়ে হয়ে যাই। কোভিড না থাকলে হয়তো ভালোকিছু হতো। মাঝে অনেকদিন খেলতে না পারায় প্রেশারে পড়ে যাই। এ সময়ে আমার টিমমেটরা সবাই আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে। সবাই বলেছে, বড় ইনিংস খেলতে হবে। আমার ফ্যামিলি বিশেষ করে আমার ওয়াইফ আমাকে খুব সাপোর্ট দিয়েছে। সে সবসময় বিশ্বাস করতো, আমি বড় ইনিংস খেলতে পারবো।
মাঝে কিছুদিন ইনজুরিতে ভুগেছেন। এদিনও দেখা গেল, বেশ কয়েকবার চোট পেয়েছেন তিনি। তবে ইনজুরির অবস্থা খুব একটা গুরুতর নয় বলে জানালেন লিটন। তিনি বলেন, রিস্ট ইনজুরির কারণে ডিপিএলেও অনেকগুলা ম্যাচ খেলতে পারিনি। তারপর শেষের দিকে যখন কয়েকটা ম্যাচ খেললাম চেষ্টা করছিলাম ফর্মে ফেরার। টেস্টেও মোটামুটি ভালোই করলাম। আজকের ইনজুরি গুরুতর কিছুনা। রিস্টের ইনজুরি তো আগে থেকেই ছিলো। কালকে ১দিন রেস্ট নিলেই আশা করি ঠিক হয়ে যাবে। শুরুতে দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণটাও ব্যাখ্যা করলেন লিটন দাস।
তিনি বলেন, উইকেটটা শুরুতে খুব একটা ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি ছিলো না। ব্যাট করা কঠিন হচ্ছিলো। রিয়াদ ভাই আসার পর ওরা যখন দুই পাশ থেকে স্পিন করাচ্ছিলো তখন ব্যাট করাটা ইজি হয়ে যায়। শুরুতে কিছুক্ষণ ব্যাট করার পর বুঝতে পারি, আমাকে বেশি ওভার খেলতে হবে। সে হিসেবে ধীরস্থিরভাবে খেলি। পরে উইকেট সহজ হয়ে যাওয়ার পর ব্যাট চালানো শুরু করি।