আজকের দিন তারিখ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সম্পাদকীয় সেবা হোক সন্তোষজনক

সেবা হোক সন্তোষজনক


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১৩, ২০২১ , ১২:০১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সম্পাদকীয়


দেশে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ক্রমবর্ধমান। বিটিআরসির মতে, দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ সংখ্যা ৯৮ লাখ প্রায়। করোনাকালে এ সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। সেবা ব্যবহারকারীর সংখ্যা যেমন বেড়েছে, তেমনি অপারেটরদের সেবাসংক্রান্ত বিষয়ে গ্রাহকের অভিযোগও বেড়েছে। সরকার গ্রাহক হয়রানি রোধে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই। বিশেষ করে এতে গ্রাহক হয়রানি কমে আসবে এবং গ্রাহক তার ন্যায্য সেবা বুঝে পাবে। তবে ট্যারিফ বাস্তবায়ন নিয়ে জটিলতার খবরও গণমাধ্যমে আসছে। গতকাল ভোরের কাগজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইন্টারনেট সেবাদাতারা বলছেন, ব্রডব্যান্ড সেবার বড় অংশ খরচ হয় সঞ্চালনে। দূরত্ব ও ব্যান্ডউইথ ভেদে যা একেক রকম। আগে সেটি নির্ধারণ করা না হলে এক রেটে দেশের সব স্থানে ইন্টারনেট সেবা দেয়া সম্ভব নয়। তাই জুলাই থেকে সেটি কার্যকর নাও হতে পারে। অবশ্যই ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলছেন, এ ট্যারিফ বাস্তবায়নে যেসব সমস্যা সামনে আসবে সব সমাধান করা হবে। গ্রাহকদের ন্যায্যতা বুঝিয়ে দেয়া আমাদের লক্ষ্য। মন্ত্রীর এমন আশ^াসে আমরাও আশ^স্ত হতে চাই। আমরা চাই, দ্রুত ট্যারিফ কার্যকর করা হোক। বিটিআরসি এই ট্যারিফের নাম দিয়েছে ‘এক দেশ, এক রেট’। এ রেটের আওতায় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের জন্য তিনটি প্যাকেজ থাকবে। প্রথম প্যাকেজের মূল্য মাসে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা, গতি হবে ৫ এমবিপিএস। দ্বিতীয় প্যাকেজের মূল্য মাসিক ৮০০ টাকার মধ্যে, এর গতি হবে ১০ এমবিপিএস এবং তৃতীয় প্যাকেজের গতি ২০ এমবিপিএস, দাম হবে মাসিক ১ হাজার ২০০ টাকা। রাজধানী ঢাকা হোক আর দেশের কোনো ইউনিয়ন হোকÑ ইন্টারনেট সেবাদাতাদের একই দামে সংযোগ দিতে হবে। নির্ধারিত দামের কম নেয়া যাবে, বেশি নয়। এ ট্যারিফ বাস্তবায়ন হলে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে। করোনাকালে দেশে ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা অনেকটাই বেড়েছে। পড়াশোনা, ঘরে বসে অফিসের কাজ করা এবং বিনোদনের জন্য ইন্টারনেট নির্ভরতা তৈরি হয়েছে। এমন সময়ে সরকারের এ উদ্যোগ সময়োপযোগী বলে আমরা মনে করছি। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সব মানুষের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দিতে কাজ করছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপায়ণের প্রথম শর্ত সর্বত্র ইন্টারনেট সংযোগ প্রতিষ্ঠা করা এবং এর খরচ জনসাধারণের হাতের নাগালে রাখা। সরকার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের দাম নির্ধারণে যেসব সমস্যা সামনে আসছে, তা সমাধান করে দ্রুত কার্যকর করবে বলে আশা করি। পাশাপাশি গ্রামাঞ্চলে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ বাড়াতে হবে। সেক্ষেত্রে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ বাড়ানো যায়। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতি সমস্যা প্রায় সব এলাকাতেই বিদ্যমান। তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে যেমন ছড়িয়ে দিতে হবে ব্রডব্যান্ড সংযোগ, তেমনি এর গতির দিকটিও নিশ্চিত করতে হবে।